হাসান ইমাম সাগর ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের এমপি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কিছুক্ষণ পর শুরু হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহসে প্রথম সম্মেলন। সম্মেলন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সম্মেলন ঘিরে মুখরিত জবি ক্যাম্পাস। সকলের মধ্যে যেন এক উৎসবের আমেজ বইছে। তবে পদ প্রত্যাশিদের মুখে হতাশাথাকার সত্বেও সকলের মুখে হাসিখুশির ভাব বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে নেতাকর্মীরা তাদের অনুসারীদের নিয়ে শোডাউন দিচ্ছে অনাবরত।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ জনকণ্ঠকে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমরা ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে সম্মেলনে যোগদান করব। এবং আজই জবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এমপি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপরেশনের মেয়র সাইদ খোকন উপস্থিত হয়েছেন।
জবি সাবেক শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩রা অক্টোবর এফ এম শরিফুল ইসলামকে সভাপতি এবং এস এম সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি করা হয়। এ কমিটি প্রায় সাড়ে চার বছর পার করলেও বিভিন্ন কারণে নতুন কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গত বছরের ৬ই সেপ্টেম্বর জবি ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু জবি ছাত্রলীগ সম্মেলনের আয়োজন না করায় বিশেষ কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয়। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে আজ ৩০শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে হতে যাচ্ছে জবি ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের এমপি।
পদপ্রত্যাশীদের কেউ কেউ বলছেন, ঊর্ধ্বতনরা যাকে যোগ্য মনে করছেন তারাই হবেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে একটাই আলোচনা, কে আসছেন, কী হতে যাচ্ছে, কী ঘটতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। কাঠাল তলা, বটগাছ তলা,শহীদ মিনার,নতুন ভবন,ভিক্টোরিয়া পার্কসহ সব জায়গায় একই আলোচনা। প্রতিদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজের কর্মী ও জনবল প্রদর্শনেরও চলছে ব্যাপক প্রচেষ্টা। চলছে ব্যাপক শোডাউন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যোগ্য, পরিশ্রমী, সমালোচনার ঊর্ধ্বে যারা রয়েছেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন। যারা সংগঠনের নেতৃত্বে এসে সংগঠনের মান ডুবাতে পারেন, এমন কাউকে নেতৃত্বে নেওয়া হবে না। জবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সসভাপতি এফ এম শরীফুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের হাতে জবি ছাত্রলীগের দায়িত্ব তুলে দেব।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিগত দিনে যারা কঠোর পরিশ্রম করেছে তাদেরকেই নেতৃত্বের জন্য নির্বাচন করা হবে।