ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এক আবাসিক শিক্ষককে নিয়ে ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০২:৪৭, ২৯ মার্চ ২০১৭

এক আবাসিক শিক্ষককে নিয়ে ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ এক আবাসিক শিক্ষককে হল থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা এই বিক্ষোভ করে। ছাত্রীদের প্রত্যাহার চাওয়া ওই শিক্ষক ঢাবির মৈত্রী হলের প্রিন্সিপ্যাল আবাসিক শিক্ষক লোপা আহমেদ। তিনি ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন বলে তারা অভিযোগ তুলে। হলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রাত সোয়া বারোটার দিকে হলের গেইটের তালা ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারা উপাচার্যের বাসার মূল ফটক ঘেরাও করে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় উপাচার্যের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উপাচার্যের নির্দেশে প্রহরীরা ফটক খুলে দিলে ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসায় প্রবেশকরে। উপাচার্য তাদের সঙ্গে তাৎক্ষনিক আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা হলে ফিরে যায়। আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রত্যাহার চেয়ে এর আগেও চারবার আন্দোলন করে হলের ছাত্রীরা। গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে হলে দায়িত্ব পালন থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ ওই শিক্ষক আর হলে ফিরবেনা বলে ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন। ওই শিক্ষক আবার দায়িত্ব পালন করতে আসলে তিনি পুনরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে পরামর্শ দেন বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। কিন্তু গত ১৭ মার্চ পুনরায় ওই শিক্ষক হলে দায়িত্ব পালন করতে গেলে আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুবিনা খন্দকারকে অবগত করেন। তারপরও ওই শিক্ষক দায়িত্ব পালন থেকে বিরতনা থাকায় মঙ্গলবার রাতে হলে বিক্ষোভ শুরুকরে ছাত্রীরা। এ বিষয়ে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুবিনা খন্দকার বলেন, ওই আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বছর আন্দোলন হওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্ট উপাচার্য স্যারের কাছে আছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এই আবাসিক শিক্ষককে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ত এমন কোনো কাজ না দিয়ে অন্য প্রশাসনিক কাজ দেয়ার জন্য। তাকে আবাসিক শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছাত্রীরা একটি দাবি নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা বিষয়টি দেখবো।
×