ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ শাজাহান ও শামসুল আবেদীন জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সহ-সভাপতি

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২৮ মার্চ ২০১৭

মোহাম্মদ শাজাহান ও শামসুল আবেদীন জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সহ-সভাপতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শমসের জুট মিলের মোহাম্মদ শাজাহান সভাপতি ও রাজবাড়ী জুট মিলের শেখ শামসুল আবেদীনকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিতরা আগামী ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ বছরের জন্য এই এসোসিয়েশনের দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার পুরানা পল্টনের সংগঠনটির কনফারেন্স হলে ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নব গঠিত এই কমিটিতে আরও ৯জন পরিচালক নির্বাচিত হন। তারা হলেন- আবুল হোসাইন, আহমেদ হোসাইন, শেখ ফারুক হোসাইন, মাহবুবুর রহমান পায়োটারি, মাহমুদুল হক, মৃধা মনিরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক এফসিএ, মোহাম্মদ নাজমুল হক ও জহুরুল হক। এই কমিটি সভায় অনুষ্ঠিত সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। এদিকে সভার শুরুতে এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পাট সুতা বড় ভূমিকা রাখতে পারায় আমরা গর্বিত। বাংলাদেশের যে পরিমাণ পাটপণ্য রফতানি হয়, তার মধ্যে সুতার পরিমাণ ৬৮ শতাংশ। পাট সুতার কঠিন নজরদারির মধ্যে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করতে হয়, যা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পের আধা প্রক্রিয়াজাত কাঁচামাল। বিশ্বের পাট সূতার চাহিদার ৯২ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে। তিনি আরও বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশের পাট শিল্প খাতের রফতানি বাণিজ্য গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। অভ্যন্তরীন পর্যায়ে কাঁচা পাঠের উচ্চমূল্য, শ্রমিক কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি, বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পাটপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে ২৫টি পাটসূতাকল বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভারত সরকার কতৃক পাটপণ্যের আমদানির ওপর এন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করায় এই শিল্পের ওপর ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আহমেদ হোসেন আরও বলেন, এই শিল্প ও পাট পণ্য ব্যবসায় অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
×