ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৮ মার্চ ২০১৭

জঙ্গী হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ২৭ মার্চ ॥ সিলেটে জঙ্গীদের বোমা হামলায় নিহত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের লাশ সোমবার তার পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালীর পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। এর আগে বিহগলের করুণ সুরে নিহত মনিরুলের প্রতি সালাম ও শ্রদ্ধা জানান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ। এ সময় অন্যদের মধ্যে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খীসা, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহ্জাহান শেখ, চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল আল-মাসুমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা এ সময় নিহত মনিরুল ইসলামের প্রতি সালাম জানান। বাড়ি থেকে মনিরুলের লাশ বের করে আনার পথে ভাইয়ের কফিনের পাশে ভাইবোন ও স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এ সময় উপস্থিত আত্মীয়স্বজনসহ পরিচিতজনদের নীরবে চোখের পানি ফেলতে দেখা যায়। মনিরুলের বড় ভাই মোঃ সোহাগ বলেন, আমার ভাইয়ের এই মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়ার নয়। কিন্তু এর পরও মেনে নিতে হচ্ছেÑ এই ভেবে আমার ভাই স্বাধীনতা দিবসের রাতে মারা গেছে। দেশের জন্য আত্মহুতি দিয়েছে। আমার ভাইয়ের আত্মহুতির মধ্য দিয়ে হলেও এই দেশ জঙ্গীমুক্ত হোক। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছোট ভাই শামীমের বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে মনিরুল গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে সিলেট থেকে ফোন করে তাকে কর্মস্থলে ফিরে যেতে বলা হয়। পরদিন শনিবার সকাল ছয়টায় মনিরুল কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি ত্যাগ করেন। বিকেলে গিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন আর রাতেই মনিরুল জঙ্গীদের বোমায় নিহত হন। মনিরুলরের স্ত্রী পারভিন আক্তার স্বামীর শোকে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। একই অবস্থা মনিরুলের মা ফিরোজা খাতুনেরও। পুত্র শোকে তিনি স্তব্ধ হয়ে গেছেন। এরই মধ্যে কয়েকবার মুর্ছা গেছেন। ৪ ভাই, ৩ বোনের মধ্যে মনিরুল ছিলেন ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। ২০০৩ সালে তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাদের সংসারে মোজাক্কেরুল ইসলাম ফারাবী নামের ১৭ মাস বয়সের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
×