ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার ॥ চীনা দামে ভারতীয় রসুন

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৮ মার্চ ২০১৭

সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার ॥ চীনা দামে ভারতীয় রসুন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘চীনা রসুন’ বলে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা রসুন। দুই দেশের রসুনের একই রং ও আকার। তবে ভারতের রসুনের দাম তুলনামূলক কম। তাই বেশি লাভের আশায় বিক্রেতা এমনটি করছেন। দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন কোয়ালিটির রসুন আসছে। সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় এসব রসুন বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। অন্যদিকে কয়েক মাসের ব্যবধানে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া চীনা রসুনের দর ক্রমে পড়ছে। ১৮০-১৯০ টাকার সেই রসুন এখন ১৬৫ টাকায় ঠেকেছে। দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বছরখানেক আগেও ভারতে রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে আমদানি করা চীনা রসুন চোরাইপথে পাচার হতো। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। ভারত থেকে আসা রসুনে দেশে চীনা রসুনের যে একচেটিয়া বাজার ছিল সেটির লাগাম টেনে ধরেছে। চীনা রসুনের দাম কমে যাওয়ার পেছনে দেশী রসুনের প্রভাবের চেয়ে ভারতের রসুনের আধিপত্যই বেশি। এক আড়তদার জানান, ‘বুম’, ‘এএএ’ ইত্যাদি ব্রান্ডের ভারতীয় রসুন খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে অবিকল চীনা রসুনের প্লাস্টিক বস্তার মতো বস্তায় ভরে। প্রতিবস্তায় ২১-২২ কেজি রসুন থাকছে। সহজে বহনযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট আর খুচরা বিক্রেতা ভালমানের ভারতের রসুনের দিকে ঝুঁকছে। এতে তাদের লাভটা বেশি হচ্ছে। কদম মোবারক মার্কেটের একটি মুদির দোকানে বাজার করতে এসেছিলেন গৃহিণী রেহানা আকতার। তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠেলাগাড়িতে দেখলাম বড় দানার চীনা রসুনের দাম কমে যাচ্ছে। কিনে দেখলাম ঝাঁঝটাও কম। পরিচিত এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এগুলোর কোয়া বড় হলেও ভারতীয় রসুন। শুনে অবাক হলাম। এতদিন জানতাম ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে, এবার দেখছি রসুনও আসছে।
×