ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সবচেয়ে বেশি এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দারুচিনির গুণাগুণ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৭ মার্চ ২০১৭

সবচেয়ে বেশি এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  দারুচিনির  গুণাগুণ

দারুচিনি। পোলাও মাংস ফিরনির জন্য চমতকার একটি মসলা হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে। দারুচিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাস জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে সমাদৃত। দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধকসহ উন্নত অসাধারণ ঔষধি গুণাবলি রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়ুবিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে। শুধু রান্নায় গন্ধ বৃদ্ধি নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনির ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেই দারুচিনি আমাদের শরীরের কি কি উপকারিতা সাধন করে থাকে। ১. অনেকেই জয়েন্টের সমস্যায় ভুগছেন। এক্ষেত্রে দারুচিনিকে জয়েন্টের ব্যথা কমানোর ওষুুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। উষ্ণ গরম পানির মধ্যে এক চামচ মধু আর দারচিনি গুঁড়ো ভালভাবে মিশিয়ে নিন, এরপর শরীরের ব্যথা স্থানে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। ২-৩ দিন ভালভাবে মালিশ করুন। কিছুদিন পর দেখবেন ব্যথা কমে যাবে। ২. দারচিনি পেটের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি এ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে ও পেটের ব্যথা উপশম করে। পেট পরিষ্কার করতে রাতে শোবার আগে দারুচিনির সঙ্গে হরীতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এসিডিটি রোধ করতে, মধুর সাঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে এসিডিটি ভাল হয়ে যায়। ৩. প্রতিদিন আধা চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো রক্তে খারাপ কোলস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমায়। রক্তে শকর্রার মাত্রা নিষন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ৪. ইস্ট ছত্রাক ঘটিত ইফেকশন প্রতিরোধ করতে দারুচিনি চমৎকার কাজ করে। হৃদরোগীদের জন্যও দারুচিনি খুব উপকারী। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ৫. দারুচিনি মরন ব্যাধি লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধ করে। রক্ত জমাট না বাঁধার অসুখ হিমোফিলিয়া প্রতিরোধ করতে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা রাখে। ৬. বাতের ব্যথা ও শরীরের হাড়ের ব্যথায় আধা চামচ দারুচিনির গুড়ো এক চামচ মধুর সাঙ্গে মিশিয়ে খেলে ব্যথা দূর হয়। তাছাড়া দারুচিনি মিশ্রিত সরিষার তেল গায়ে মালিশ করলে ব্যথা ভাল হয়। ৭. ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা বা খুশখুশে কাশিতে মধু চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মেশালে আরাম পাওয়া যায়। ৮. ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধিতে দারুচিনি, দুর্বাঘাস ও হলুদ সমপরিমাণে বেটে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ভাল। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ রোধ করতে দারুচিনি উপকারী। ৯. নিয়মিত দারুচিনি খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ১০. আর্থারাইটিসের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা এক কাপ গরম জলের মধ্যে দু’চামচ মধু আর দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা খেতে পারেন। যাপিত ডেস্ক স্টাইল কথা বলে ইয়াসির আরাফাত ‘ঋরৎংঃ ওসঢ়ৎবংংরড়হ ওং ঞযব খধংঃ ওসঢ়ৎবংংরড়হ’ ইংরেজীতে এই কথাটা খুব অহরহ বলা হয়। অর্থাৎ, প্রথম ছাপ সর্বশেষ ছাপ ফেলতে সক্ষম। তবে প্রথম ছাপ কতটা আকর্ষণীয় করে তুলবে আপনাকে, তা কিন্তু বেশ কিছুটা নির্ভর করে পোশাকের ওপর। আসলে প্রথমবার কাউকে দেখার সময়, আমরা তাঁর পোশাক, স্টাইল ইত্যাদিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ড্রেস কোড ভাল হলে তবেই তাঁর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ তৈরি হয় আমাদের মধ্যে। নচেৎ কোন আগ্রহ প্রকাশ করি না আমরা। আসলে একজন মানুষকে দেখলেই বোঝা যায় না, যে তিনি ভাল কী খারাপ। তবে তাকে বাইরে থেকে দেখে তার পোশাক দেখে কিছুটা আন্দাজ করে নেয়া যায়। তাই আউটফিট মানানসই না হলে আমরা তাকে অগ্রাহ্য করতে থাকি। তাই ডেটে যাওয়ার সময় গার্লফ্রেন্ডকে ইম্প্রেস করার জন্য উপযুক্ত পোশাক পরে যান। কারণ, আপনার পোশাকই বলে দেবে কেমন মানুষ আপনি। এবার নিজেকে নিজে দেখে নিন ঠিক কেমন ধরনের মানুষ আপনি। দ্য জিন্স ম্যান আপনি হয়ত খুব বেশি জিন্স ও টি-শার্ট পরতে ভালবাসেন। ফ্যাশন সম্বন্ধে খুব একটা মাথা ব্যথা নেই আপনার। বাইরে যাওয়ার সময় হাতের কাছে যা পান তাই পরে বাইরে চলে যান। এমনকী, গোটা একটা মাস যদি আপনাকে একটা ডেনিমও পরতে হয় তাতেও আপনার কোন অসুবিধা হবে না। এমনকী, আপনি সেটাই পরেন যেটাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তা যদি আপনাকে নাও মানায় তা হলেও তাতে কোন যায় আসে না আপনার। আসলে মানুষ হিসেবে আপনি খুবই স্বাভাবিক। তেমন বেশি কিছুই চাহিদা নেই আপনার। সুটেড-বুটেড ম্যান খাওয়া, ঘুম, অফিস, পার্টি সব জায়গাতেই অনেকে ব্লেজার বা শুট পরে যান। দেখে মনে হয় তার ওয়ার্ড্রোবে শুট ছাড়া আর কোন পোশাকই নেই। এই ধরনের মানুষ স্বভাবের দিক থেকে বেশ এ্যারোগেন্ট হন। তাঁরা নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য যা খুশি তাই করতে পারেন। এমনকী, পারিপার্শ্বিক মানুষের উপর নিজের আধিপত্য কায়েম করতে চান তারা। এক্সপেরিমেন্টাল পুরুষ ফ্যাশনেবল পোশাক পরতেই বেশি ভালবাসেন তারা। এমনকী, নিজের পোশাকের উপর গবেষণা করেতেও বেশ পছন্দ করেন। প্রতিদিন একটা আলাদা অবতার রূপে নিজেকে তুলে ধরার মধ্যেই তাদের আনন্দ। এই ধরনের মানুষ নিজেদের নিয়েই খুব বেশি ব্যস্ত থাকেন। এতটাই ব্যস্ত থাকেন, যে আশপাশের মানুষকেও ভুলে যেতে পারেন। তবে তাদের মধ্যে নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ খুব। রকস্টার পোশাক যাই পরুন না কেন, ব্রেসলেট, স্কার্ফ এবং চেন ছাড়া তাদের ফ্যাশন পরিপূর্ণতা লাভ করে না। তাদের স্টাইল কিছুটা ফাঙ্কি। তবে জুতো এবং চশমার প্রতি একটা আলাদা আর্কষণ থাকে তাদের। অনেকেই এই ধরনের মানুষকে বদমেজাজি ভেবে ভুল করেন। আসলে মনের দিক থেকে তারা যথেষ্ট উচ্চ মানসিকতার মানুষ হন। সবেতেই কান্না এমন মানুষ আছেন, যাদের ওয়ার্ড্রোবে সব ধরনের পোশাক থাকে। কিন্তু তারা এমন পোশাক বেছে নেন, যা তাদের মানায় না। এই ধরনের মানুষদের মন সব সময় খারাপ থাকে। তারা নিজের কাজ না করে অপরের খুঁত বের করতেই বেশি পছন্দ করেন। এমনকী, কারোর নামে নালিশ করতেও ছাড়েন না। সব থাকতেও কেমন যেন একটা নেই নেইভাব থাকে তাদের মধ্যে। মডেল : সজল ও নাঈম ছবি : আরিফ আহমেদ
×