ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফেব্রুয়ারিতে মোবাইলে লেনদেন কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ

প্রকাশিত: ০২:৩৯, ২৬ মার্চ ২০১৭

ফেব্রুয়ারিতে মোবাইলে লেনদেন কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে মোট লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। আর দৈনিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। তবে লেনদেন কমলেও এ সময়ে রেকর্ড পরিমাণ গ্রাহক বেড়েছে। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই গ্রাহক বেড়েছে ৭৯ লাখেরও বেশি। যা আগের মাসের তুলনায় গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। যা একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। হঠাৎ কেন এত বেশি গ্রাহ এই নিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে এ সেবায় মোট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার। যা আগের মাস জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল ৪ লাখ ১৯ লাখ ৩৩ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দ্রুততম সময়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে এ সেবা ব্যবহার করেই মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে দিয়েছে বাংলাদেশ সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অপব্যবহার ঠেকাতে বেশকিছু নির্দেশনা ব্যাংক। এতে হিসাব খেলা ও পরিচালনা এবং লেনদেনে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একটি মাত্র হিসাব চালু রাখতে পারবেন। যাদের একাধিক হিসাব চলমান রয়েছে, তা দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সীমা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে একজন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পূর্বে এই হার ছিল ২৫ হাজার টাকা। এখন থেকে গ্রাহক দৈনিক দুই বার এবং মাসে ১০ বার এই সেবা নিতে পারবেন, যা আগে ছিল দৈনিক তিন বার এবং মাসে ১০ বার। একইসঙ্গে দৈনিক জমার সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে এখন থেকে দিনে সর্বোচ্চ দুই বারে ১৫ হাজার টাকা করে পাঠানো যাবে। যা মাসে সর্বমোট ২০ বারে এক লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। আগে দিনে পাঁচ বারে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সবর্বোচ্চ ২০ বারে দেড় লাখ টাকা করে জমা করা যেতো। এছাড়া একটি মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঐ হিসাব থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করা যাবে না। পাশাপাশি ৫০০০ টাকা বা এর অধিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিপত্র প্রদর্শনের বিধান করা হয়েছে। এমনকি রেজিস্ট্রারে গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো এজেন্ট এই ধরনের কার্যাদি যথাযথভাবে সম্পন্ন না করলে বা গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে এজেন্টশিপ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
×