ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া ও বেগম জিয়াই ইতিহাস বিকৃত করেছেন ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৬ মার্চ ২০১৭

জিয়া ও বেগম জিয়াই ইতিহাস বিকৃত করেছেন ॥ তোফায়েল

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, তখনই পাকিস্তানীরা বই লিখে গণহত্যার চিত্রকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের যদি কেউ বিকৃত করে থাকে, সেটা জিয়াউর রহমান ও তার সহধর্মিনী খালেদা জিয়া করেছেন। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কেউই ব্যাহত করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস সম্পর্কে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়ে বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে নিজেদের দাবি করে, আমি সেই ঘোষক দাবিদার দলকে (বিএনপি) জিজ্ঞেস করতে চাই, ২৫ মার্চের এই গণহত্যা দিবসে আপনাদের কর্মসূচী কী? আমি জানতে চাই আপনারা এই নৃশংস হত্যাকা-ের দিনে নীরব কেন? আমি জানতে চাই আজকের এই দিনে গণহত্যার বিষয়ে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান কি? বাংলাদেশের জনগণ এসবের উত্তর বিএনপির কাছ থেকে জানতে চায়। তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। ভয়াবহ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর লালবাগের আজাদ অফিস মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তারা এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে দুটি জনসভা করে ক্ষমতাসীন এ দলটি। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। জনসভায় ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, গণহত্যা দিবসে বিএনপি নীরব কেন? কারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মদদ দেয়, আলবদর শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা করে। কারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না- এটা জাতির সামনে পরিষ্কার। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না, ৪৭ সালের পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণা লালন করে। দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের ভেতরে ভেতরে কাউয়া আছে। কাউয়া পঁচাত্তরেও ছিল, একাত্তরেও ছিল। কাউয়া এখনও আছে। ক্ষমতার স্রোতে এসব কাউয়ারা ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারি করার জন্য এসব কাউয়াদেরকেও লিস্টে নাম লেখায়। তবে আমাদের কাউয়ার দরকার নেই। ‘২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে যুদ্ধ হতো কি না সন্দেহ আছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই তথ্য ফখরুল সাহেব কোথায় পেলেন? জিয়াউর রহমান নিজেই বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। ফখরুল সাহেব আপনি তো যুদ্ধই করেন নাই, স্বাধীনতার পক্ষেই ছিলেন না। আপনারা কি করে জানলেন জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় বাঙালী জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন?’
×