ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’

প্রকাশিত: ০০:১১, ২৫ মার্চ ২০১৭

সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে অপারেশন চলছে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পুলিশ ও সোয়াট টিমের সদস্যরা সহায়তা করছে। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভিযান শুরুর পর সকাল ১০টার দিকে পরপর দুটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। এরপর আর কোনো শব্দ শোনা যায়নি। চূড়ান্ত অভিযান শুরুর পাঁচ ঘণ্টা পর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ওই দুটি ভবনে শনিবার সকাল ৯টায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন অভিযান শুরু করে, যেখানে এক জঙ্গি দম্পতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমে সোয়াট এই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন স্প্রিং রেইন’। তবে পরে নাম পরিবর্তন করে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ রাখা হয়। ওই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীকে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস-সংযোগ। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের সাঁজোয়া যান ও কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযান শুরুর পর ওই ভবনে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলে। নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে না পারলেও উদ্ধার করা ব্যক্তির সংখ্যা ৫০ এর বেশি হবে বলে জানান একাধিক কর্মকর্তারা। শিববাড়ি ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে পাঁচতলা বিশিষ্ট ‘আতিয়া মহল’ ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। বাড়িটির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আতিয়া মহলের ভেতর থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান। এরপর পুলিশওই বাসার আশপাশের সব বাড়ি খালি করে। কিন্তু ওই ভবনের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করায় বাড়িটি খালি করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জঙ্গিদের বারবার আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে অতিরিক্ত উপ কমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে সোয়াট ও পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে মেজর রোকন ও মেজর রাব্বীর নেতৃত্বে প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা পৌঁছানোর পর অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এদিকে, জঙ্গি আস্তানার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। শনিবার রাত সোয়া ৩টার পর তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
×