ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযান ॥ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ

প্রকাশিত: ২২:২৪, ২৫ মার্চ ২০১৭

 অভিযান ॥ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ

অনলাইন ডেস্ক ॥ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা ৩০ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযান শুরুর পাঁচ ঘণ্টা পর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। আতিয়া মহল নামে ওই ভবনটিতে শনিবার সকাল ৯টায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন অভিযান শুরু করে, যেখানে এক জঙ্গি দম্পতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীসহ সবাইকে এক কিলোমিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়। দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত দুই বার গুলির শব্দ পাওয়া গেলেও দুপুর ২টা থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ২টা ৭ ও ২টা ১০ মিনিটে দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। বিকট শব্দ শুনে বাইরে অবস্থানরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো গ্রেনেড হতে পারে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে বের করে আনা হয় ভেতর থেকে, যারা বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে আটকা পড়েন। দুপুর ২টার আগে মোট ৭৬ জনকে বের করে আনা হয়। তাদের কাছের একটি ভবনে জড়ো করে রাখা হয়েছে। ওই দুই বাড়ির মধ্যে পাঁচতলা ভবনটিতে ৩০টি ফ্ল্যাটে সমান সংখ্যক পরিবারের বসবাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে বাকি পরিবারগুলো কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েন। ২টায় গুলি-বোমার আওয়াজ শোনার আগে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পুলিশ বেষ্টনি অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে। ভেতরের অবস্থা বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। সেনাবাহিনী কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের কিছু বলেননি। একটি দিন ও একটি রাত পার করে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর আগে শনিবার সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ। ফায়ার ব্রিগেডের দুটি গাড়ি রাতেই ঘটনাস্থলে এনে রাখা হয়েছিল। সকালে সাঁজোয়া যান ও অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। অভিযানের খবর সরাসরি সম্প্রচার না করতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’; এর আগে ঘটনাস্থলে কাজ করে আসা সোয়াট এই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন স্প্রিং রেইন’।
×