ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ৭০ দান বাক্স

প্রকাশিত: ২০:৩১, ২৫ মার্চ ২০১৭

পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ৭০ দান বাক্স

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গ্রিল, জানালা, ক্লবসিক্যাল গেট, করিডোর কিংবা ফাকা স্থান সর্বত্রই বিভিন্ন মাজারের নাম সম্বলিত দান বাক্সে সজ্জিত। এসব বাক্স কোনটি গোলকার আবার কোনটি চৌকা আকৃত্রির। পূরো হাসপাতাল জুড়ে লাল, কালো কিংবা সাদা রং এর ৭০ টা দান বাক্স ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এসব বাক্সের মধ্যে মির্জাগজ্ঞ ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র:) মাজারের দান বাক্সের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তবে হযরত খাজা খানজাহান আলী (র:) মাজার ও আজমি শরীফের কিছু দানবাক্স রয়েছে। তবে হাপাতালে কে এসব বাক্স লাগিয়েছে এবং কারা তা খুলেএ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে সে বিষয়ে কোন তথ্য নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে পুজি করে একটি চক্র গড়ে তুলেছেন এই দান বাক্স বানিজ্য। এ বিষয়ে পটুয়াখালী মদিনা জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাও: মো: আবু ইউসুফ বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে কবরস্থানকে সুন্দর ও সু-সজ্জিত করার জন্যে দানবাক্স সাটানো হয়। কোন মাজারের দানবাক্সে টাকা দেওয়া ও উঠানো শরীয়তে নিষিদ্ধ।’ আর পটুয়াখালী জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাও: আবু সাইদ বলেন, ‘নিজের সওয়াবের জন্য মাজার জিয়ারত করলেও মাজারের দান বাক্সে কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের টাকা পয়সা লেনদেন করা যাবে না। এ বিষয়ে কোরআন হাদিসে সু স্পস্ট ব্যখ্যা রয়েছে।’ যাদের হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বাক্স বানিজ্য সেই পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা:আব্দুর রহিম বলেন, ‘এসব দান বাক্স দ্রুত অপসারন করা হবে।’
×