ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্যবসায়ী উইলিয়াম হ্যাগার্টি

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৪ মার্চ ২০১৭

ট্রাম্পের রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্যবসায়ী উইলিয়াম হ্যাগার্টি

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসায়ী উইলিয়াম হ্যাগার্টিকে জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস এই তথ্য জানিয়েছে। তবে কংগ্রেসে অনুমোদনের পরই এই নিয়োগ নিশ্চিত হবে। উল্লেখ্য, কোনও দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কংগ্রেসে অনুমোদন পেলে ক্যারোলিন কেনেডির স্থলাভিষিক্ত হবেন হ্যাগার্টি। টেনিসি অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী হ্যাগার্টি একটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোম্পানি হ্যাগার্টি পিটারসনের মালিক। তিনি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের কনসাল্টেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন জাপানে কাটিয়েছেন। পরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ে তিনি হোয়াইট হাউসে কাজ করেছেন। এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র জাপান। ভূ-রাজনীতিতে চীনকে মোকাবিলায় ট্রাম্পের জন্য জাপানকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেই প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি ৮ নভেম্বর নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। ফেব্রুয়ারিতে দুই নেতা ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডায় বৈঠক করেন। তবে ট্রাম্প চীন ও জার্মানির সঙ্গে জাপানেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তিনি দাবি করেন, জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অসম বাণিজ্য রয়েছে। সেই সঙ্গে জাপানে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের খরচ বহনেরও দাবি জানান ট্রাম্প। ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়াটা ছিল জাপানের জন্য আরেক দফা আঘাত। তবে বৈঠকে ট্রাম্প ও আবে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক আলোচনা এগিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ক আলোচনা আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন টোকিও সফরে গেলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে খুব বেশি আশার আলো দেখা যায়নি। তবে জাপানে বোস্টন কনসাল্টিংয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯০-এর প্রথমভাগে হ্যাগার্টির সাবেক সহকর্মী কইচি হরি জানান, হ্যাগার্টি এমন ব্যক্তি নন, যিনি সবসময় ট্রাম্পের রক্ষণশীলনীতিকে সাদরে মেনে নেবেন। মার্কিন অর্থনীতিতে জাপানি কোম্পানির বিশেষ প্রভাব রয়েছে। এসব কোম্পানিতে প্রায় আট লাখ মার্কিন নাগরিক কাজ করছেন। তারা ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার ৮০০ কোটি ডলার পাঠিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।
×