ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ামি থেকে শুরুতেই বাউচার্ডের বিদায়

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৪ মার্চ ২০১৭

মিয়ামি থেকে শুরুতেই বাউচার্ডের বিদায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে একটি মাত্র ডব্লিউটিএ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ইউজেনি বাউচার্ড। কিন্তু তারপরও টেনিস বিশ্বের আলোচিত নাম এই কানাডিয়ান। তবে কিছুতেই নিজেকে টেনিস কোর্টে মেলে ধরতে পারছেন না তিনি। যে কারণেই ২০১৪ সালে নজর কাড়া পারফর্মেন্স উপহার দেয়া বাউচার্ড নিজেকে হারিয়ে খোঁজছেন। তবে সমর্থকদের হতাশ করেছেন মিয়ামি ওপেনেও। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টির কাছে ৬-৪, ৫-৭ এবং ৬-৩ সেটে হেরে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেন বাউচার্ড। ম্যাচ শেষে ২৩ বছর বয়সী বাউচার্ড স্বীকার করেছেন যে, এ্যাশলে বার্টির সঙ্গে তাকে লড়াই করতে হয়েছে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যেই চার টুর্নামেন্ট খেলে ফেলেছেন কানাডার এই টেনিস তারকা। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন কোথায়? বরং একের পর এক ব্যর্থতা নিয়ে কোর্ট ছাড়ছেন তিনি। অথচ তিন বছর আগে টানা দুটি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল এবং উইম্বলডনের ফাইনাল খেলে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন গোটা টেনিস বিশ্বকেই। তবে সেই পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। একের পর এক টুর্নামেন্ট থেকে লজ্জাজনকভাবে হেরে বিদায় নেয়ার কারণে অনেকেই শেষ দেখে ফেলছেন কানাডিয়ান তারকার। এদিকে বাউচার্ডকে হারিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত এ্যাশলে বার্টি। অস্ট্রেলিয়ান এই টেনিস তারকার রয়েছে ক্রিকেট মাঠে খেলারও দারুণ অভিজ্ঞতা। গত মাসেই মালয়েশিয়ান ওপেন জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। এবার মিয়ামি ওপেনের প্রথম পর্বের ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার এই খেলোয়াড় জানিয়েছেন এটা তার কঠোর পরিশ্রমেরই ফলাফল। এ প্রসঙ্গে তার অভিমত, ‘আমাদের প্রাক মৌসুমটা ছিল দুর্দান্ত। সেখান থেকেই ভাল সূচনা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। প্রাক মৌসুমে কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং এখন তারই ফল পাচ্ছি।’ তবে ইউজেনি বাউচার্ড ছাড়াও মিয়ামি ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনের হেথার ওয়াটসন, সার্বিয়ার জেলেনা জাঙ্কোভিচ, জার্মানির আন্দ্রেয়া পেটকোভিচ এবং পুয়ের্তো রিকোর মনিকা পুইগের মতো তারকারা। ২০০৮ সালে এই মিয়ামি ওপেনের ফাইনাল খেলেছিলেন জাঙ্কোভিচ। অথচ এবার প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেলেন তিনি। তাও আবার কাজাখস্তানের ইয়ারোসøাভা শভেদেভার কাছে ৪-৬, ৬-৪ এবং ৭-৬ সেটে হেরে। গত বছরই রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জিতেন মনিকা পুইগ। পুয়ের্তো রিকোর ইতিহাসে তার হাত ধরেই প্রথম কোন অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পেয়েছিল দেশটি। ফাইনালে জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারকে হারিয়ে। কিন্তু সেই ফর্মের ছিটেফোঁটাও আর দেখা যায়নি মনিকা পুইগের। বৃহস্পতিবার রোমানিয়ার সোরানা চিরস্টিয়ার কাছে ৬-২ এবং ৬-৪ সেটে হেরে বিদায় নেন তিনি।
×