ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চকরিয়ায় রাবার ড্যাম মেরামতে ধীরগতি

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৪ মার্চ ২০১৭

চকরিয়ায় রাবার ড্যাম মেরামতে ধীরগতি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চকরিয়ার বরইতলী ও কোনখালী বিএচর ইউনিয়নের মাঝখানে প্রবাহিত মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টের ক্ষতিগ্রস্ত রাবার ড্যাম মেরামত কাজে ধীরগতিতে চাষাবাদে সেচ সুবিধা নিয়ে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কে ভুগছে চকরিয়া ও পেকুয়ার হাজারো কৃষক। ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানের লোকজন জানান, কাজের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত হয়নি এবং কার্যাদেশ পাওয়া যায়নি বলে মেরামত কাজে ধীরগতি। তবে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাবার ড্যামের মেরামত কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী অর্থবরাদ্দ নিশ্চিত হয়নি দাবি করে বলেন, অনেক আগে থেকে পাউবো’র যান্ত্রিক বিভাগের প্রকৌশলীরা প্রকল্প এলাকায় অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ সম্পন্ন করা যাবে। জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা রাবার ড্যামের মাধ্যমে নদীর মিঠা পানি আটকে সেচ সুবিধা নিয়ে প্রতিবছর চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার অন্তত ৪০ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করে আসছে হাজারো কৃষক। স্থাপনের পর বন্যার পানির চাপে ইতোমধ্যে কয়েকবার ড্যামের রাবার ছিঁড়ে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করে ফের রাবার ড্যামটি সচল করে। অনুরূপভাবে গতবছরের নবেম্বর মাসে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে ফের ড্যামের একাধিক অংশে রাবার ছিঁড়ে গেলে ফের মেরামতের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর ওই পয়েন্টে রাবার ড্যামের ওপরে এবং নিচের অংশে মাটির তৈরি দুটি অস্থায়ী ক্রসবাধ নির্মাণ করা হয়েছে। যাতে মাঝখানে পানি শুকিয়ে নেয়ার পর ড্যামের মেরামত কাজ সহজে করা যায়। চলতি মাস থেকে ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠানের লোকজন পানি শুকিয়ে নেয়ার পর ড্যামের মেরামত কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, মেরামত কাজে ধীরগতির কারণে সঠিক সময়ে কৃষকরা নদীর মিঠা পানির উৎস পাচ্ছে না। এ অবস্থার কারণে চকরিয়া ও পেকুয়ার হাজারও কৃষক চাষাবাদ নিয়ে চরম উদ্বেগ-আতঙ্কে ভুগছে। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি টানা ভারি বর্ষণের কারণে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি ভাটির দিকে নামতে না পেরে লোকালয় ও জমি প্লাবিত হয়। এতে হারবাং, বরইতলী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, সাহারবিল, চিরিঙ্গা, ফাঁসিয়াখালী (কিছু অংশ) এবং চকরিয়া পৌরসভার লক্ষ্যারচর, আমাইন্যারচরসহ আশপাশের এলাকায় ফসলি জমি ছাড়াও বহু গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সবজি ও ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের।
×