ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজিমপুরে জমে উঠেছে বঙ্গবন্ধু উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৪ মার্চ ২০১৭

আজিমপুরে জমে উঠেছে বঙ্গবন্ধু উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার মাঠে ঢুকতেই ফটকের বাঁ-দিকে চোখে পড়বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। মাঠের উত্তর দিকে চলছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন কর্মকা-ের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এর পাশেই মাঠে বসে মুজিবকোট পরা একঝাঁক শিশুকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনাচ্ছেন ঠাকুরমা। পুরো মাঠই যেন বঙ্গবন্ধু। বৃহস্পতিবার এমনসব দৃশ্যই দেখা যায় আজিমপুরে আয়োজিত সাত দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবের। এদিন ছিল এই উৎসবের ষষ্ঠ দিন। জাতির জনকের আদর্শ শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই দ্বিতীয়বারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। আলোকচিত্র প্রদর্শনীর স্থানে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকা-ের চিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রতিটি ছবির নিচেই রয়েছে ছবির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। উৎসবে আগত শিশুরা খুব আগ্রহ নিয়েই এসব ছবি দেখছেন। বঙ্গবন্ধুর এসব ছবি দেখে অনেক শিশুই আনন্দ প্রকাশ করেছে। এসব ছবি বিষয়ে আয়োজকরা বলেন, নতুন প্রজন্মের সন্তানরা বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি। তার সম্পর্কে খুব বেশি জানতেও পারেনি। আমরা চেয়েছি এসব ছবি দেখে শিশুরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশেই গল্পের ঝুলি নিয়ে বসেছিলেন ঠাকুরমা। তিনি মুজিবকোট পরা এক ঝাঁক শিশুকে বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনাচ্ছিলেন। গল্পবলা শেষে ঠাকুরমা শিশুদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যেমনি বঙ্গবন্ধুর পোশাক পরেছ, তেমনিভাবেই বঙ্গবন্ধুর দর্শনও তোমাদের ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মতো দেশপ্রেমও তোমাদের মধ্যে বহন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তোমাদেরই গড়তে হবে। উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, বঙ্গবন্ধু গোটা বাঙালী জাতির পিতা। তার সম্পর্কে সবার জানা থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সকল শিশু জন্ম নিচ্ছে, তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শও থাকে না। মানিক বলেন, আমরা শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে মুজিবকোট বিতরণ করেছি। আমরা চাই এই মুজিবকোট পরে সব শিশু যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু উৎসব আজিমপুর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মানিক। গত ১৮ মার্চ আজিমুর কমিউনিটি সেন্টার মাঠে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শেখ রানা জনকণ্ঠকে বলেন, গত বছর এই উৎসব আয়োজন করে আমরা স্থানীয় অভিভাবকদের ব্যাপক সারা পেয়েছিলাম। এবারও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে নিয়মিতই এখানে আসছেন। প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে শিশুদের মনে বঙ্গবন্ধু আদর্শ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
×