ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের ব্রীজের পাটাতন উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: ০২:০৮, ২০ মার্চ ২০১৭

টাঙ্গাইলের ব্রীজের পাটাতন উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের কালিহাতী উপজেলার রৌহা ব্রীজের পাটাতন উঠে গেছে। ফলে এ সড়কে রবিবার (১৯ মার্চ) রাত থেকে ভারী যানচলাচল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ। সড়কের ১২টি ব্রীজের মধ্যে ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পড়ে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ রৌহা ব্রীজের পূর্ব পাশের পাটাতন উঠে গেছে। ফলে সড়ক দিয়ে মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারছে না। সিএনজি চালিত অটোগুলো জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করছে। এদিকে কালিহাতীর এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত এই সড়কে লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন রাজাবাড়ী ব্রীজ, রৌহা ব্রীজ, ফুলতলা ব্রীজ, সয়া ব্রীজ, নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড ব্রীজ, সিংগুরিয়া ব্রীজ, কাগমারী পাড়া ব্রীজ, শিয়ালকোল ব্রীজ দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কোন ব্রীজের দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে, কোন ব্রীজের মাঝখানে গর্ত হয়ে গেছে। আবার কোনটার অবস্থা একেবারে নাজুক। এই সড়কে কালিহাতী, ভূঞাপুর ও ঘাটাইলসহ কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাফেরা করেন। জামালপুরের তারাকান্দি সার কারখানার মালামাল আনা নেয়ার প্রধান সড়ক এটিই। এছাড়া টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক হিসেবে প্রতিনিয়তই এই সড়ক ব্যবহার করে। বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ নিয়মিতভাবেই এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কে যাতায়াত করেন। ফলে সড়কটি বন্ধ থাকার কারণে ব্যপক প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনে। কিছুদিন আগে সয়া ব্রীজ ভেঙ্গে পড়লে কয়েকদিন যান চলাচল বন্ধ থাকে। সেখানে নিন্মমানের বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দায়সারাভাবে কাজ করায় বেইলী ব্রীজটি আবারো মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। এ সড়কের যাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, শুধু রৌহা ব্রীজ নয় এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত প্রায় সকল ব্রীজই মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। কিন্তু ব্রীজগুলো এতোদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও মেরামতের কোন সাড়াশব্দ নেই। হারুন অর রশিদ নামের এক বাস চালক বলেন, এই সড়কের প্রায় সকল ব্রীজের অবস্থাই খুবই খারাপ। ব্রীজগুলোর উপরে গাড়ী নিয়ে উঠলে মনে হয় এখনই ভেঙ্গে পড়ল। কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, এই সড়কের অধিকাংশ ব্রীজ ঝুকিপূর্ণ হলেও মেরামত কিংবা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষের তেমনটা ভূমিকা লক্ষ করা যায় না। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের রৌহা ব্রীজের পাটাতন উঠে যাওয়ায় সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রীজটি সাময়িক মেরামতের জন্য আমাদের লোক কাজ করছে। কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
×