আগামী নির্বাচনের আগেই ২০১৮ সাল থেকে অষ্টম পে-স্কেল অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির ওপর নির্ভর করে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির ওপর নির্ভর করবে, বিষয়টি নিয়ে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে এটি চালু হবে। আর ২০১৭ সালের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ চলমান থাকবে। স্থায়ী পে-কমিশন আর থাকবে না। তিনি বলেন, কোন বছর বেতন বাড়বে, আবার কোন বছর বাড়বে না। কারণ মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের কম হলে বেতন বাড়বে না। কেবল যে বছর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে বেশি হবে সে বছরই বেতন সমন্বয় হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করা হচ্ছে, কমিটি তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এর আগে গত ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল ধরে সরকারী কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করে সরকার। যাতে বেতন বাড়ে গ্র্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ। ওই কাঠামোতে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে যোগ দেয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হয় মাসে ২২ হাজার টাকা, যা আগের কাঠামোতে ১১ হাজার টাকা ছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হবে এলাকা অনুযায়ী বাড়িভাড়া এবং গ্রেড অনুযায়ী চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা। ২১ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এই হারে মূল বেতন পাচ্ছেন ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে। আর ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভাতা কার্যকর হয়েছে। অষ্টম বেতন কাঠামোতে সর্বোচ্চ স্কেলের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মূল বেতন ৮৬ হাজার টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের ক্ষেত্রে ৮২ হাজার টাকা হবে। সপ্তম বেতন কাঠামোতে তাদের মূল বেতন ছিল যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৪২ হাজার টাকা। ১৩ মার্চ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: