ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈকতে উদ্ধার দুই শিশু যেতে চায় মা-বাবার কাছে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৫ জানুয়ারি ২০১৭

সৈকতে উদ্ধার দুই শিশু যেতে চায় মা-বাবার কাছে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে এসে হারিয়ে যাওয়া ও পরে উদ্ধার দুই শিশু তাদের বাবা-মা’র অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তবে পিতা-মাতার নাম জানলেও তারা জানে না বাসস্থানের ঠিকানা। আনুমান আট বছরের অভি ও ১০ বছর বয়সের তাজিনা নাসরিন রনি নামে দুই শিশুর বর্তমান আশ্রয় স্থল শহরতলীর হাজিপাড়া বেসরকারী সংস্থা ইপসা’র সেইফ হোম শান্ত নিলয়ে। অভি গত ২৫ নবেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এবং রনি প্রায় ৪ মাস আগে ঝাউবীথিতে হারিয়ে যায়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ লাবনী বীচ থেকে অভিকে উদ্ধার করে ইপসা’র সেফ হোমে হস্তান্তর করেছে। অভি তার পিতার নাম রাজু ও মাতার নাম সালমা উল্লেখ করে জানায়, আব্বু আম্মুর সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসি। বাড়ি থেকে প্রথমে ট্রেনে পরে গাড়িতে করে যেদিন কক্সবাজার আসি, সেদিনই আমি হারিয়ে যাই। আব্বু আম্মুকে আর দেখিনি। আমার বাড়ির ঠিকানা জানি না, তবে আমাদের এলাকায় ‘ভালুয়া বাজার’ আছে। গ্রামের ভেতর একটা স্কুলও আছে। সেখানে আমি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তাম। শান্তা ম্যাডাম আমাকে স্কুলে এবং বাড়িতে পড়ান। তার ভাষায়, আমার কাকার নাম রাজ্জাক। কাকার ছেলে সজিব ও মেয়ে লিনা। অভি’র গায়ের রং কালো এবং একটু থুথলিয়ে কথা বলে। তাজিনা নাসরিন রনি নামে আরেক শিশু তার বাবার নাম রোবেল হাসান, মা মিনু আক্তার ও নিজ গ্রামের ঠিকানা জানে না। রনি জানায়, ৪-৫ মাস আগে কক্সবাজার বেড়াতে এসে ঝাউবাগানে হারিয়ে গেলে একটা লোক আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ভীষম মারধর ও সারাদিন বেঁধে রাখা হতো। কোমর পর্যন্ত আমার চুল ছিল। প্রথমে কাঁচি ও পরে মেশিন দিয়ে চুলগুলো কেটে দিয়েছে। রুমানা পারভিন, শাকিলা ইয়াছমি ও জিনিয়া নামে আমার আরও তিন বোন ছিল। তারা এখন কোথায় থাকে জানি না। রনির গায়ের রং শ্যামলা। কিছুদিন পূর্বে তাকেও উদ্ধার করে সেফ হোমে রাখা হয়েছে জানিয়ে ইপসা’র কাউন্সিলর ও শেল্টার হোম ব্যবস্থাপক হুসনে আরা বলেন, অভি ও রনিকে যতœ সহকারে শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে। তাদের মনোবল শক্ত। অভি ও রনি মায়ের কাছে ফিরে যেতে চায়।
×