স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জীবনের শেষ ওয়ানডেটি খেলে ফেললেন তিলকারতেœ দিলশান। রবিবার ডাম্বুলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এটিই হয়ে থাকল আধুনিক লঙ্কান ক্রিকেটের অন্যতম চিত্তাকর্ষক ব্যাটসম্যানের শেষ ওয়ানডে ইনিংস। প্রথম ম্যাচের পর দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) পক্ষ থেকে ঘোষণাটা এসেছিল। টেস্ট ছেড়েছেন ২০১৩ সালে। ৯ সেপ্টেম্বর কলম্বোয় টি২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন ৩৯ বছর বয়সী উইলোবাজ। দিলশানকে গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে তুলনা করলেন বর্তমান অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তিনি বলেন, ‘দিলশান গত ১৭ বছরে আমাদের অসাধারণ একজন ক্রিকেটার। আমি তাকে মাহেলা আর সাঙ্গার মতোই সেরাদের আসনে স্থান দিতে চাই। তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানই। মাঠে ওকে অনেক মিস করব।’
সাবেক তারকাদের অনেকেই দিলশানকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের টুইটার এ্যাকাউন্টে সাঙ্গাকারা লিখেছেন, ‘আমি তো বলব, সনাথ জয়সুরিয়ার পর দিলশানই ছিল আমাদের সেরা ম্যাচ উইনার। লঙ্কান ক্রিকেটে ওর অবদান অনেক। আশা করি অবসর পরবর্তী সময়টা ভাল কাটবে।’ শ্রীলঙ্কাকে এখন পর্যন্ত একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দেয়া অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা বলেন, ‘দিলশান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল। সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে নিজেকে একজন সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিন ধরনের ক্রিকেটেই সে অসাধারণ খেলেছে। সুন্দর ক্যারিয়ারে উপহার দিয়ে দেশের জন্য অবদান রেখেছে।’ এছাড়া বর্তমান প্রধান নির্বাচক ও বিশ্বজয়ী দলের সদস্য জয়সুরিয়া, রোশান মহানামা, অশোকা গুরুসিনহে, গ্রেট স্পিনার মুত্তিয়া মুরলিধরন, পেস তারকা লাসিথ মালিঙ্গা দিলশানকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
দিলশান কেবল আধুনিক শ্রীলঙ্কারই নয়, দেশটির ইতিহাসেরই একজন সেরা ব্যাটসম্যান। লঙ্কার হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ তিন ধরনের ক্রিকেটে সেরা ছয় রান সংগ্রহকের মধ্যে তার নাম। ৭৮ টি২০তে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৮৮৪, ৩৩০ ওয়ানডেতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১০২৯০ ও ৮৭ টেস্টে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ৫৪৯২ রান। ক্রিকেট ইতিহাসে সব ভার্সনে সেঞ্চুরি আছে বিশ্বের এমন পাঁচ ব্যাটসম্যানের একজন দিলশান। সাদা পোশাকে ১৬ সেঞ্চুরি ও ২৩ হাফসেঞ্চুরির মালিক টেস্ট ছেড়েছেন ২০১৩ সালের মার্চে। চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ড সফরে যাননি। ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সামনে রেখে প্রধান নির্বাচক জয়সুরিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর। হয়ত তখনই তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়, জানানো হয়, ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে শ্রীলঙ্কার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় নেই তিনি। এই সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ২২ ও ১০ রান করার পরই সিদ্ধান্তটা পাকা হয়ে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: