ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বোমা হামলার পর কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ২২:০০, ৮ জুলাই ২০১৬

বোমা হামলার পর কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক॥ বোমা হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের ওপর চাপাতি নিয়েও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল জঙ্গিরা। বোমার আঘাতে আহত হয়ে পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল হক পাশের একটি মসজিদের বাথরুমে ঢুকে পড়লে সেখানেই তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহের অনতিদূরেই সবুজবাগ মহল্লা। সেখানকার মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের কোনায় একদল পুলিশ সদস্য ঈদগাহমুখী মানুষকে তল্লাশির দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন ছিলেন ঘটনার অদূরেই আরেক দল পুলিশের নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ঠিক সকাল পৌনে নয়টার দিকে পুলিশের দলটির ওপর বোমা হামলা হয়। এরপর তারা চাপাতি নিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের সারবাঁধা চারটি বাথরুমের (ইউরিনাল) একটির ভেতরে দেখা যায় ছোপ ছোপ কালচে রক্ত। গ্রিলের দরজাও রক্তাক্ত। সদ্য রং করা সাদা দেয়ালেও লেগেছে রক্তের ফিনকি। ওই বাথরুমের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা সিআইডির এক কর্মকর্তা। তিনি জানালেন, ঢাকা থেকে রওনা হওয়া সিআইডির ‘ক্রাইমসিন ভ্যানে’র অপেক্ষায় তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। ক্রাইমসিন ভ্যান এলে তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করবেন। যদিও তখন ঘটনা ঘটার সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলেন, সাত-আটজনের পুলিশ দলটি অতর্কিত বোমা হামলায় আহত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে জহিরুল একটি বাথরুমে গিয়ে ঢোকেন। কিন্তু তিনি দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ করার আগেই এক জঙ্গি তাঁকে ধাওয়া করে সেখানে গিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
×