অনলাইন ডেস্ক ॥ মোট হতাহত : নিহত: ২৮ জন , উদ্ধার: ১৪ জন, আহত: ৩০ জন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন
সূত্র: প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পুলিশ
ক্যাফের ভেতরে হামলাকারীরা ২০ জন মানুষকে হত্যা করে। এদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের নাগরিক, একজন ভারতীয় নাগরিক, একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকার নাগরিক এবং দুইজন বাংলাদেশী নাগরিক।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ঐ রেস্তোরাঁয় কমান্ডো অভিযানের পর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিলো ৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং একজন ধরা পড়েছেন। যদিও তার পরিচয় জানানো হয়নি।
পুলিশ প্রথমে নিহত ঐ ছয়জনকেই জঙ্গি হিসেবে বর্ণনা করলেও, মঙ্গলবার গুলশান থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ওই রেস্তোরাঁর কুক ছিলেন বলে তারা পরে জানতে পেরেছেন।
তবে ওই কুক নিরাপত্তার বাহিনীর গুলিতে নাকি হামলাকারীদের হাতে মারা গেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি।
আইএসপিআরের বক্তব্যের পর আইএসের দেওয়া পাঁচজন জিহাদির ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশ্ন উঠে প্রতিরক্ষা বিভাগের বক্তব্য অনুযায়ী আরেকজন হামলাকারী কোথায় গেলো।
এদিকে শনিবার সকালে উদ্ধার ১৩ জন সহ মোট ২৭ ব্যক্তিকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরে তাদের বক্তব্য শুনে যাচাই-বাছাই করে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, হলি আর্টিজানে হামলার চারদিনের মাথায় মঙ্গলবার গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় নিহত পাঁচজন জঙ্গিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: