ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

সহিংসতাবিরোধী নাটক ‘গহনযাত্রা’ প্রদর্শনী ১১ জুলাই

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ জুলাই ২০১৬

সহিংসতাবিরোধী নাটক ‘গহনযাত্রা’ প্রদর্শনী ১১ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্মান্ধদের আস্ফালনে বিশ্ব আজ অশান্ত। ধর্মকে পুঁজি করে বিস্তৃত হয়েছে জঙ্গীবাদের শাখা-প্রশাখা। প্রতিনিয়ত উগ্রপন্থার নিষ্ঠুরতার বলি হচ্ছে শান্তিপ্রিয় মানবসমাজ। এই সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাকার মঞ্চে এসেছে পদাতিক নাট্য সংসদের নতুন নাটক গহনযাত্রা। নাটকটি রচনা করেছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। প্রযোজনাটিতে একক অভিনয় করছেন শামছি সারা সায়েকা। গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে গহনযাত্রার কারিগরি মঞ্চায়ন। আগামী ১১ জুলাই অতিথি ও সংবাদমাধ্যকর্মীদের জন্য অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রদর্শনী। ওই দিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে প্রযোজনাটি। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধর্মই শান্তি ও মানবতার কথা বলে। তবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের আগ্রাসনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে শান্তি ও সম্প্রীতি। ধর্মান্ধদের সহিংসতায় প্রাণ হারাচ্ছে নিরাপরাধ মানুষ। এই সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রযোজনা গহনযাত্রা। নাটকের কাহিনীতে এই ভূখ-ের কোন এক স্থানে জন্ম নেয় উগ্রপন্থার। সেই উগ্রপন্থার অনুসারীরা প্রত্যাখ্যান করে বিপরীত সব মতবাদকে। পেশীশক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় নিজেদের অন্ধ মতবাদকে। এজন্য তারা ক্রমাগত চালিয়ে যায় ধ্বংসলীলা। বইয়ে দেয় রক্তগঙ্গা, হত্যা করে অগণিত মানুষ, ধর্ষিত হয় অসংখ্য নারী। ভিন্ন মতাদর্শের এক ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষদের তারা ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে। বন্দীদশা থেকে পালাতে চায় অনেকে। তবে মৃত্যুই হয় তাদের শেষ ঠিকানা। বন্দীদের মধ্যে শুধু বেঁচে যায় সালমা নামের এক নারী। কিন্তু খোলা প্রান্তরে পড়ে থাকা লাশগুলো সমাহিত করবে বলে বেঁচে গিয়েও ফিরে আসে সালমা। একসময় সালমা নিজের অভ্যন্তরে অনুভব করে অপর কার অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্ব হয়তো তারই বর্ধিত কোন রূপ কিংবা অপররূপে সে নিজেই অথবা অন্যকিছু। সেই অস্তিত্ব সঙ্গী হয় তার। মৃতদের সমাহিত করার পর সালমা খোঁজ করে তার প্রার্থিত পুরুষের। খুঁজে পায় ল্যাম্পপোস্টে ছিন্নমস্তক ঝুলে থাকা সেই কাক্সিক্ষত পুরুষ। ঘটনাচক্রে সালমা ধরা পড়ে উগ্রপন্থিদের হাতে। প্রথমে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বধ্যভূমিতে। আগুনে দগ্ধ হওয়ার পূর্বে সালমা যাচনা করে পরমের সান্নিধ্য। ক্ষমা চায় তাদের জন্য যারা এই পরিণতির কুশীলব। আপন অন্তর্ধানের মধ্যদিয়ে সব অনাচার আর বিভেদ যেন লুপ্ত হয় পৃথিবী থেকে সেই প্রার্থনায় নত হয় সালমা। প্রযোজনাটির সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন সাইম রানা। আতিকুল ইসলাম জয়ের আলোক পরিকল্পনায় রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন শামছি আরা সায়েকা।
×