ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৫ জুলাই ২০১৬

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর ঘুরে আবার এলো ঈদ। ঈদ-উল-ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে কাল অথবা পরশু ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়বে সবখানে। ঘরে ঘরে বইবে আনন্দের বন্যা। পথে পথে ছড়িয়ে পড়বে খুশির ঝিলিক। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মনে আনন্দের কোন সীমা থাকবে না। আশরাফ আতরাফ ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে ঈদের নামাজে শরিক হবেন। গাইবে সাম্যের গান। নতুন জামাকাপড় পরে সবাই ছুটে যাবে ঈদগাহে। ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে সেমাই, পায়েস, খেজুর, খোরমা অথবা মিষ্টান্ন খেয়ে রওনা হবে। গোসল করে নতুন পোশাক পরে আতর-সুরমা লাগিয়ে ঈদের মাঠে গমন করবে। নামাজ শেষে পথে পথে প্রিয়জনদের সঙ্গে সালাম বিনিময় ও কোলাকুলিতে শরিক হবে। জানাবে ঈদ মোবারক। তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী, দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তী, জাকাত দেবো ভোগ-বিলাস, আজ গোস্বা বদমস্তি, প্রাণের তশতরীতে ভরে বিলাব তৌহিদ। চলো ঈদগাহে। আজ রমজানে ২৯ তারিখ। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে রমজান শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ-উল- ফিতর উৎসব পালন করা হয়। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেয়া ইসলামী বিধান। তাই ঈদের চাঁদ নিয়ে সুফিয়া কামাল লিখিছেন “চাঁদ উঠিয়াছে, ঈদের চাঁদ কি উঠেছে? শুধায় সবে। লাখো জনতার আঁখি থির আজি, সুদূর সুনীল নভে। আজ পশ্চিম আকাশে এক ফালি চাঁদের হাসিই জানান দেবে আগামীকাল অথবা পরশু ঈদ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ঈদ-উল- ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব। বাংলাদেশে ঈদ উপলক্ষে রমজান মাস ধরে কেনাকাটা চলে। অধিকাংশ পরিবারে ঈদের সময়েই নতুন পোশাক কেনা হয় সাধ্যমতো। এদিকে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পত্র-পত্রিকাগুলো বিশেষ ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের দিন থেকে শুরু করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের দিন প্রত্যেক মুসলমানের ঘরে ঘরে সাধ্যমতো বিশেষ খাবারের প্রস্তুতিও রয়েছে। ঈদের দিনে সেমাই বা অন্যান্য মিষ্টি নাস্তা না হলে চলে না। ঈদ-উল-ফিতরকে আরবীতে রোজা ভাঙার দিবস অভিহিত করা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সঙ্গে পালন করে থাকে। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনেও আবদ্ধ করে সবাইকে। ঈদ মুসলমানদের জীবনে শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়। সব শ্রেণী ও সকল বয়সের নারী-পুরুষ ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান আল্লাহ্র শোকর আদায়ে নুয়ে পড়ে। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদ-উল-ফিতরের দিনে খুশি প্রকাশ করা মুসলমানের জন্য মুস্তাহাব। যখন ঈদের দিন ভোর হয় তখন আল্লাহ্ তাআলার আপন ফেরেস্তারা সব শহরে, সব গলি ও রাস্তাগুলোর মাথায় দাঁড়িয়ে যায়। আল্লাহ তাআলাও তাঁর বান্দাদের এভাবে সম্বোধন করেন, হে আমার বান্দারা! চাও, কি চাইতে ইচ্ছে হয়! আমার সম্মান ও মহত্ত্বের শপথ! আজকের দিনে এ জমায়েতে (ঈদের নামাজে) তোমাদের আখিরাত সম্পর্কে যা কিছু চাইবে তা পূরণ করব। আর যা কিছু দুনিয়া সম্পর্কে চাইবে তাতে তোমাদের মঙ্গলের দিক দেখব। আমার সম্মানের শপথ! তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত আমার বিধানাবলীর প্রতি যত্মবান থাকবে আমিও তোমাদের ভুলত্রুটিগুলো গোপন রাখব। আমার সম্মান ও মহত্ত্বের শপথ, আমি তোমাদের সীমালঙ্ঘনকারীদের সঙ্গে অপমানিত করব না। তোমাদের ঘরের দিকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হিসেবে ফিরে যাও। তোমরা আমাকে সন্তষ্ট করেছে। আমিও তোমাদের ওপর সন্তষ্ট হয়ে গেছি। ইতোমধ্যে প্রিয়জদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়েছে লাখে মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকেও ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া এবারের ঈদে সরকারী ছুটি নয় দিন হওয়ায় যাত্রীরা স্বচ্ছন্দেই বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। এর আগে প্রিয়জনদের জন্য সাধ্যমতো কেনাকাটও সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাহের নামাজ আদায়ের জন্য প্রায় প্রতি ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেশের প্রধান ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। ইতোমধ্যে ঈদের প্রধান জামায়াতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও অনুষ্ঠিত হবে ঈদের পাঁচটি জামাত। চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক ॥ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪৩৭ হিজরির পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের তারিখ নির্ধারণ এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে আজ সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা অন্য কোন উপায়ে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৯৬৪৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭। ফ্যাক্স নম্বর : ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৫৯৫১। ফিতরা ॥ ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান। যা রোজার ভুলত্রুটি দূর করার জন্য আদায় করা হয়। ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করার বিধান রয়েছে। ফিৎরার ন্যূনতম পরিমাণ ইসলামী বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা থাকে। সাধারণত ফিতরা পরিমাণ আটা বা অন্য শস্যের (যব, কিশমিশ) মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। সচরাচর আড়াই সের আটার স্থানীয় মূল্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম ফিতরার পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। এ বছর জন প্রতি সর্বনিম্ন ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা। এছাড়া সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ টাকা। যে কেউ ইচ্ছা করলে সর্বনিম্ন এই হার থেকে সর্বোচ্চ হারে ফিতরা আদায় করতে পারবেন। বাণী ও শুভেচ্ছা ॥ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বাণীতে তারা পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও মুসলিম উম্মাহ্র ঐক্য ও শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ঈদের জামাত- কখন, কোথায় জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত ॥ প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হইকোর্ট প্রাঙ্গণ সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রধান জামাতের নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিকল্প ইমাম হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শায়খুল হাদীস মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুয্যামান। এছাড়াও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাআত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায়, চতুর্থ জামাত সকাল দশটায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে এগারোটায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন যথাক্রমে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমাদ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রব মিয়া আল বাগদাদী ও মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইতোমধ্যে জাতীয় ঈদগাহের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামায়াতের পাশে পর্দা দিয়ে মহিলাদের ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবির্ধার্থে অজু করার ব্যবস্থা রাখাসহ ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপনেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি ও বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরা এখানের ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সংসদ প্লাজায় ঈদ জামাত ॥ ঢাকা : জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায়। চীফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংসদ এলাকার মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেবেন। আহলে হাদিস ঈদ জামাত ॥ পুরাতন ঢাকাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আহলে হাদীসের ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত সকাল আটটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে বংশাল বড় জামে মসজিদ কমিটির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে খুতবা প্রদান ও ইমামতি করবেন বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদীসের সহসভাপতি, বংশাল আহলে হাদিস বড় জামে মসজিদের খতিব প্রিন্সিপাল মাওলানা আলহাজ শায়খ মোস্তফা বিন বাহা উদ্দিন কাসেমী। এই জামাতে রাজধানীর পুরাতন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার লোক সমাগম হবে বলে জানান বাংলাদেশ জমিয়তে আহলে হাদিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঢাকায় ঈদের জামাতসমূহ সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা ॥ মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হারুন মোল্লা ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠ সকাল সাড়ে ৭টায়, মিয়া সাহেব ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা ॥ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরম সকাল সাড়ে ৮টায়, মীর বাড়ি আদি জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, আবুজর গিফারী কলেজ মাঠে সকাল ৮টায়, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৮টায়, গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত সকাল আটটায়, মগবাজার বিটিসিএল কলোনী জামে মসজিদ সকাল ৮টায়, নুরানী জামে মসজিদ লক্ষ্মীবাজার সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিকত হবে সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টা ॥ গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে নয়টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
×