ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের জন্য চুলের প্রস্তুতি নিন

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৪ জুলাই ২০১৬

ঈদের জন্য চুলের প্রস্তুতি নিন

ঈদ আমাদের জন্য বছরের সবচেয়ে আনন্দমুখর সময়। ঈদ মানেই এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানো এবং সবচেয়ে সুন্দর লাগুক এই লক্ষ্যে নিজেকে সাজানোর। প্রায় সময়ই কাক্সিক্ষত সাজের খোঁজে, বিশেষ করে ঈদের কাছাকাছি সময়ে, আমরা আমাদের মসৃণ স্ট্রেইট চুলের সাজ পাল্টে বেছে নেই তরঙ্গময় কোঁকড়া চুলের ঝর্ণাধারা, অথবা চাকচিক্যময়ী চুলের হাইলাইট। যার দরুন আমাদের চুলের ক্ষতি হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য যায় চুলোয়। মাত্রাতিরিক্ত চুলের রং ও স্টাইলের জন্য ব্যবহৃত অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও কেমিক্যালের কারণে চুল খড়ের গাদার মতো রুক্ষ, শুষ্ক, ভঙ্গুর ও ম্লান হয়ে যায়, যা অবশ্যই উৎসবের প্রস্তুতির জন্য উপযুক্ত নয়। তবে এই আনন্দমুখর উৎসবে এই কারণে আপনার মন খারাপ করার কোন কারণই নেই। কারণ আমরা আপনার চুলচর্চার জন্য সহজ কিছু টিপস বাছাই করেছি, যা মেনে চললে আপনার চুল থাকবে আপনার ইচ্ছাস্বরূপ স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং আপনাকে দেখাবে চমৎকার, ঠিক যেমনটি আপনার প্রাপ্য। তাই আর দেরি নয়, টিপসগুলো আজই অনুকরণ করুন- ১. আপনি যদি চুলে রং করে বা কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকেন, যা ঈদের আগে খুবই স্বাভাবিক, তাহলে চুলের রং রক্ষা করতে সানস্ক্রিনের সঙ্গে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন; কারণ অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি আপনার চুলের রং বিলীন করে দেয় বলেই জ্ঞাত। ২. তাপ, চুলের প্রসাধনী, ইত্যাদি ব্যবহার করে চুলের স্টাইলিং করলে আপনার চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই ক্ষতি নিরাময় করতে পারে কুসুম-গরম নারিকেল তেলের ম্যাসাজ, যা চুলের গভীরে পৌঁছে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়, স্কাল্পের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং এটির কন্ডিশনারস্বরূপ বৈশিষ্ট্য চুলকে কন্ডিশন করে। এর ফলে চুলের গোড়া ও চুল হয় আরও মজবুত। এটা হচ্ছে চুলের যতেœর সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও সহজলভ্য উপায়। আপনি যদি এই চুলে যতেœর প্রথা মেনে চলেন এবং সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার চুলে নারিকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করেন, তাহলে আপনি চুল নিয়ে থাকবেন নিশ্চিন্ত, আজীবনের জন্য। ৩. শুষ্ক চুলে স্টাইলিংয়ের প্রসাধনী ব্যবহার করে চুলকে সহজেই নিজের ইচ্ছেমতো সাজিয়ে তোলার প্রলোভন এড়ানো দায় (কে চায় না ঈদের সেলফিগুলোতে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর আর চমৎকার দেখাক)। কিন্তু চুলে এসব প্রসাধনী ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকুন। বেশিরভাগ প্রসাধনীতে কেমিক্যালের ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত; যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার চুলের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয়। কিছু স্বল্পমেয়াদী লাভের মূল্য হিসাবে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি মানানসই নয়। চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক প্রসাধনী ব্যবহার করতে। যদি স্টাইলিংয়ের যন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে না পারেন, তাহলে হিট স্টাইলিং লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করুন। ৪. যদি আপনি সতর্ক না হন তাহলে স্টাইলের প্রসাধনী যেমন হেয়ার মুস ও হেয়ার স্প্রে আপনার মনমাতানো চুলের সাজ থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় চুলের অনেক ক্ষতি হতে পারে। কেমিক্যালগুলো দূর করতে আপনার চুলে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে নিন যা ক্ষতিকর কেমিক্যাল শুষে নেবে এবং একই সঙ্গে চুলকে কন্ডিশন করবে। হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, এতে চুলের ক্ষতি নিরাময় হবে এবং চুল থাকবে কোমল ও নমনীয়। ৫. শুনতে একটু উদ্ভট মনে হতে পারে, কিন্তু ঈদের আগে ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন; কেননা স্কাল্পের প্রাকৃতিক তেল আপনার চুলের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকা কঠিন, কেননা রোদে বাইরে বের হলেই আপনার চুল চটচটে এবং নোংরা হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি শুরুতেই চুল নোংরা হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেন তাহলে ঘন ঘন চুল ধোয়ার প্রয়োজন হবে না। ছবি : রক্তিম মডেল : টুম্পা, আদর, কেয়া ও আলিফ কোরিওগ্রাফী : টনি পোশাক : ব্লেজা মেকআপ : বিন্দিয়া
×