ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত সীমান্তজুড়ে নজরদারি বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৪ জুলাই ২০১৬

ভারত সীমান্তজুড়ে  নজরদারি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলার ঘটনা ও জঙ্গী মোকাবেলায় উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ৫১ কিলেমিটারসহ আরও ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার ভারত সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে জঙ্গী প্রবেশ আটকাতে ভারতের পক্ষে কঠোরভাবে নজরদারি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। রবিবার নীলফামারীর ডোমার, চিলাহাটি, ডিমলা উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ, তিস্তা নদীর ভারত সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের কড়া পাহারার খবর দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে ভারতের ন্যায় বাংলাদেশ অংশের সীমান্তেও বিজিবি কড়া পাহারাসহ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। সূত্র মতে, ঢাকার গুলশানে জঙ্গী হামলার জেরে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। ফলে নিজেদের রক্ষার্থে চোরাপথে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে জঙ্গীরা। এ কারণে ভারতের সীমান্তজুড়ে বিএসএফ টহল জোরদারসহ নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। একটি সূত্র বলছে, জঙ্গীরা উত্তরের নীলফামারী সংলগ্ন লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরকে বেশি ব্যবহার করে থাকে। এই পথে বেশ কিছু চিহ্নিত দালাল রয়েছে। তারা মোটা অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে দেয় মানুষকে। অভিযোগ রয়েছে, এই পথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কোচবিহারেই অধিকাংশ অপরাধী বা জামায়াত সদস্য লুকিয়ে আছে। ফলে স্বভাবতই সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্তের ফাঁকফোকর গলে জঙ্গী প্রবেশ আটকাতে ভারতের পক্ষে কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘ সীমান্তপথে জঙ্গী কিংবা জামায়াত বা শিবির সদস্যদের অনুপ্রবেশ আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং গ্রামবাসীদের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের জেলাগুলোতে অচেনা, সন্দেহভাজন লোক দেখলেই প্রশাসনকে খবর দিতে বলা হয়েছে। এদিকে ভারতের পক্ষে সীমান্ত সিল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই একই দিনে ঈদ ও রথযাত্রা। তাই এখন প্রশাসনকে অতিসতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের ন্যায় বাংলাদেশ অংশের সীমান্তে বিজিবি কড়া নজরদারিসহ টহল বৃদ্ধি করেছে। এ এলাকার পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি এ বিষয়ে সর্তকাবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়।
×