টেরেসা মে হতে পারেন ব্রিটেনের সেরা প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মাইকেল গোভের পক্ষে সে সম্ভাবনা নেই বললে চলে। লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের প্রতিযোগিতা থেকে পিছু হটার ক্ষেত্রে গোভের একটি ভূমিকা ছিল ঠিকই তবে তিনি টেরেসার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। প্রতিযোগিতায় আরও একজন নারী আছেন। তিনিও টেরেসার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।
ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ক্যামেরন অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন। এ অবস্থায় ভবিষ্যত নেতা বাছাই নিয়ে দল এখন ব্যস্ত। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে এগিয়ে আছেন। ব্রিটেনের ইইউতে থাকা না থাকা প্রশ্নে গত মাসের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত গণভোটে ইইউ বিরোধীরা জয়লাভ করার পরদিন ক্যামরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে দলে তৎপরতা শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছিল লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন এই পদে আসবেন। কিন্তু তিনি গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর প্রতিযোগিতা মোটামুটিভাবে টেরেসা ও বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়ে। কিন্তু রবিবার ডেইলি মেইল পরিচালিত পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা গেছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থাশীলতার দিক থেকে গোভ টেরেসা থেকে অনেক পিছিয়ে গেছেন। শুক্রবারই তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন। শনিবার পার্টির সিনিয়র নেতারা জানান, তাদের এলাকার ভোটাররা গোভকে সমর্থন না করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। টেরেসা ও বাণিজ্যমন্ত্রী আন্ড্রিয়া লিডসাম এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন। শনিবার টেরেসা জানান তিনি ১শ’য়ের ওপর এমপির সমর্থন নিশ্চিত করেছেন, আন্ড্রিয়া বলেন, তিনি ৫০ জন এমপির সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। নির্বাচিত হলে প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের নীতি আদর্শ নিয়ে এগোবেন বলে জানিয়েছেন আন্ড্রিয়া। তবে ভিন্ন সূত্রে জানা যায় আন্ড্রিয়া মুষ্ঠিমেয় সদস্যের সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন।
রবিবার ডেইলি মেইল পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, টেরেসা ৫৯ শতাংশ নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে গোভ মাত্র ১৫ শতাংশ নিয়ে তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন। আন্ড্রিয়া আছেন আরও নিচে। জরিপে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী এগিয়ে আছেন টেরেসা, তারপর গোভ। এরপর রয়েছেন যথাক্রমে স্টিভেন ক্র্যাব, আন্ড্রিয়া লিডসাম ও লিয়াম ফক্স। Ñগার্ডিয়ান ও ডেইলি মেইল
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: