ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বহু প্রতিষ্টানে শিক্ষকতা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী ছদ্মবেশে জঙ্গী

প্রকাশিত: ২২:২৬, ৩ জুলাই ২০১৬

বহু প্রতিষ্টানে শিক্ষকতা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী  ছদ্মবেশে জঙ্গী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা জেএমবি ও আরএসও ক্যাডার অনেকে ছদ্মবেশে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে শিক্ষকতা, পড়া-লেখা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কর্মচারী হিসেবে চাকুরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তারা যে যেখানে থাকুক না কেন, জঙ্গীপনায় কিলিং কর্মকান্ডে নির্ধারিত সময়ে ঠিকই হাজির হয়ে থাকে তারা। বড়ধরণের কিলিং ও নাশকতায় আরাকান বিদ্রোহী গ্র“প রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আল কায়েদা জেএমবি এক সঙ্গে কাজ করে থাকে বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে ঢাকা গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারিতে হামলাকারিদের একজন নির্বাস ইসলাম বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সির ছাত্র ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন থান্ডারবোল্ডে অন্যদের সঙ্গে নিহত হয় ওই জঙ্গীও। ওয়াকিফহাল মহলের মতে, রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে কোনভাবে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ পেলে আগামীতে হুমকির সম্মুখীন সহ বেকায়দায় পড়তে হবে জাতিকে। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ বিভাগে যেসব রোহিঙ্গা শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে, এদের বাসা-বাড়ি শরণার্থী ক্যাম্পে নয়। বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে জায়গা-জমি কিনে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে এরা কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। ইতোপূর্বে জমি-জমার খতিয়ান দেখিয়ে ওরা জাতীয় সনদও হাতিয়ে নিয়েছে। যাদের মা-বাবা এখনও মিয়ানমারে, তাদের ছেলে এদেশে পড়া-লেখার ফাঁকে স্থান ঠিক করে অভিভাবকদের নিয়ে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়াটা অসম্ভব কিছু না। কেননা তারা ভর্তি হওয়ার সময় বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে সনদ প্রদান করছে। প্রাইমারি লেভেল থেকে ওরা পড়ালেখা শেষ করে এতটুকু পর্যন্ত কিভাবে এসেছে?- এটাই প্রশ্ন। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে নির্দ্বিধায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌছাতে তাদের সহযোগীতা করেছে কারা? ওসব দালালদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে সচেতন মহলের দাবী। উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাতারাতি গড়ে উঠা বেসরকারী মাদ্রাসাগুলো তদন্ত পূর্বক ভর্তিকৃত রোহিঙ্গা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে এরা এদেশের নাগরিকত্ব লাভের পাশাপাশি সব ক্ষেত্রে বড় ধরণের বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠীর কাছ থেকে নেয়া অর্থায়নে আরএসও’র রোহিঙ্গা জঙ্গীদের পরিচালনায় কওমী মাদ্রাসাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবী জানিয়েছেন অভিজ্ঞজনরা।
×