ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই বছরে কেঁদেছে প্যারিস, কেঁপেছে ক্যালিফোর্নিয়া, রক্তাক্ত হয়েছে মালি

বিশ্বজুড়ে জঙ্গী হামলা ॥ টুইন টাওয়ার থেকে গুলশান

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩ জুলাই ২০১৬

বিশ্বজুড়ে জঙ্গী হামলা ॥ টুইন টাওয়ার থেকে গুলশান

বিভাষ বাড়ৈ ॥ গুলশানের ক্যাফেতে জঙ্গী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশে জিম্মি করে হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম হলেও ভয়াবহ জঙ্গী হামলা বিশ্ববাসীর জন্য নতুন নয়। ধর্মের নামে জঙ্গীরা হামলা করছে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা, পার্লামেন্ট ভবন, পর্যটন কেন্দ্র, ক্লাব, আবাসিক হোটেল, ক্যাফে, বাসভবন, বাস, ট্রেনসহ জনমানুষের ওপর। বিশ্বের সকল দেশের মানুষ এখন সবসময় আতঙ্কে থাকেন কখন কোথায় জঙ্গী হামলা ঘটে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে জঙ্গী হামলায় তিন হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এ হামলার ঘটনা। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার সেই ভয়াবহ হামলার পথ ধরেই এখন চলছে দেশে দেশে জঙ্গী হামলা। বিশ্বব্যাপী জঙ্গী হামলার ঘটনার দিকে তাকালে প্রথমেই আসে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতী বিমান হামলার ঘটনা। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল-কায়েদার ওই হামলায় নিহত হন দুই হাজার ৯৯৬ জন। তবে তথ্য বলছে, ওই হামলার মতো বড় আক্রমণ না হলেও তার কিছুদিন আগেই ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বমনা বটমূলে বোমা হামলা চালায় দেশী জঙ্গীরা। সেই হামলায় নিহত হয় ১০, আহত হয় আরও ১৭। জঙ্গী হামলার ধারাবাহিকতায় চলতি বছর বিশ্বের বহু দেশে নিহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। গত দুই বছরকে আলাদা করে হিসাব করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহেই (২৮ জুন) তুরস্কের ইস্তান¦ুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে জঙ্গীদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ভারতের পাঠানকোট আক্রমণে জঈশ-ই- মোহাম্মদের জঙ্গীদের হামলায় ৭ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হন। জঙ্গীরা হামলা চালায় একটি ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতেও। ৩ জানুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গীরা হামলা চালায় ইরাকি সামরিক বেসে। এতে নিহত হন ১৫, আহত হন ২২। ৭ জানুয়ারি জঙ্গীরা লিবিয়ার উপকূলীয় শহরে পুলিশ ট্রেনিং ক্যাম্পে হামলা চালালে নিহত হয় অর্ধ শতাধিক। ১১ জানুয়ারি আইএসআইএস বন্দুকধারীরা ইরাকে একটি শপিংমলে আত্মঘাতী হামলা চালালে নিহত হয় ২০। ১২ জানুয়ারি তুরস্কের ইস্তান্বুল বোমা হামলায় ১০ পর্যটক নিহত হন। ১৫ জানুয়ারি আল-শাবাবের সন্ত্রাসীরা কেনিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ করলে ৬৩ জন নিহত হন। আহত হন ২৩০। নাইজিরিয়ার একটি গ্রামে হামলায় ১৬ জানুয়ারি জঙ্গীরা হত্যা করে ৬৫ সাধারণ মানুষকে। ইরাকে ২০ মার্চ আইএসআইএল সুইসাইড বোম্বারদের পৌর ভবনে হামলার ঘটনায় নিহত হয় ২৪। ২২ মার্চ বেলজিয়ামের ব্রাসেলস বিমানবন্দরে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ও ব্রাসেলস মেট্রোতে বোমা হামলায় ৩৫ জনের মৃত্যু ও ৩শ’ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৭ মার্চ লাহোরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে হামলায় ৭০ নিহত হন। গত দুই বছরে জঙ্গী হামলায় কেঁদেছে ফ্রান্সের প্যারিস, রক্তাক্ত হয়েছে মালি, আতঙ্কে কেঁপেছে ক্যালিফোর্নিয়া। নাইট ক্লাব, মন্দির, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, পাতাল রেল-কিছুই বাদ যায়নি জঙ্গী হামলা থেকে। বিশ্ববাসী কেঁদেছে, জঙ্গী তৎপরতা দমনে বিশ্বনেতারা খেয়েছেন হিমশিম। এরই মধ্যে সদর্পে হামলা চালিয়ে গেছে আইএস। দেখিয়ে দিয়েছে, চাইলেই যে কোন জায়গায় হামলা চালাতে পারে তারা। বরাবরের মতো এ বছরও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে জঙ্গী হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও চলেছে বড় বড় হামলা। বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয়েছে গত বছরের নবেম্বর মাসে। এ মাসে ফ্রান্সের প্যারিস ও মালিকে কাঁপিয়েছে জঙ্গীরা। শুধু হামলা চালিয়ে মানুষ মেরেই ক্ষান্ত হয়নি আইএস, প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোও ধ্বংস করেছে। এভাবে বছর জুড়ে জঙ্গী হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে বিশ্বে। গত বছরের শেষ দিকে ১৩ নবেম্বর জঙ্গী হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে হামলা হয়। এতে ১৩০ নিহত ও ৩৫০ আহত হয়। পরিস্থিতি সামলাতে হাবুডুবু খান দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে। তারও আগে বছরের শুরুতে উগ্রপন্থীর গুলি ও বোমায় রক্ত ঝরেছিল ফ্রান্সে। ৭ জানুয়ারি প্যারিসে ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদো কার্যালয়ে জঙ্গী হামলায় ১১ নিহত হয়। এসব ছাড়িয়ে যায় প্যারিসের হামলা। ১৩ নবেম্বর রাতে প্যারিসের কনসার্ট হল, একাধিক রেস্তরাঁ ও জাতীয় ক্রীড়া স্টেডিয়ামসহ অন্তত ছয়টি জায়গায় প্রায় একই সময়ে পরিচালিত হামলায় প্রায় দেড় শ’ লোক নিহত হয়। প্যারিসে হামলার রেশ কাটতে না কাটতে ভয়াবহ হামলায় কেঁপে ওঠে আফ্রিকা। এবারের হামলাটি ছিল আরও নাটকীয়। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির রাজধানী বামাকোতে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন অভিজাত হোটেল র‌্যাডিসন ব্লতে ২০ নবেম্বর বিদেশীসহ ১৭০ জনকে জিম্মি করে বন্দুকধারীরা। নয় ঘণ্টা পর এ জিম্মিদশার অবসান ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ২৭ নিহত হন। প্রথমে সন্দেহের তীর আইএসের দিকে গেলেও মালির জঙ্গী দল আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেব পরে এ হামলার দায় নেয়। জঙ্গীরা কূটনৈতিক নম্বর প্লেটধারী কয়েকটি গাড়িতে করে আসে। ওই হোটেলে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তুরস্ক ও ভারতের নাগরিকরা ছিল। বছরের শেষে এসে ২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ছুটির দিনের উৎসবে সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক (২৮) ও তাসফিন মালিক (২৭) দম্পতির গুলিতে প্রাণ হারায় ১৪। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নার্ডিনো কাউন্টির একটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ওই হামলা হয়। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দুই হামলাকারী। তদন্তের পর জানা যায়, পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত তাসফিন আইএসের সমর্থক ছিলেন। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে লস এ্যাঞ্জেলসের একটি বিলাসবহুল হোটেলে গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় একটি স্কুলে ২৪ ডিসেম্বর আইএসের গোলা নিক্ষেপে প্রাণ হারায় নয় ছাত্রী, আহত হয় ২০। স্কুলটি ছিল সরকারী সেনাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের সুছা এলাকায় সৈকত-সংলগ্ন ইম্পেরিয়াল মারহাবা হোটেলে কয়েক দিনের মাথায় বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে ৩৭ নিহত হন। পরে হামলাকারীও নিহত হয়। এ হামলাতেও সন্দেহের তীর যায় আইএসের দিকে। ১৭ আগস্ট থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি হিন্দু মন্দিরের সামনে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১২০। হতাহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশী পর্যটক। থাইল্যান্ডের সরকার বলেছে, দেশের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্প ধ্বংসের জন্যই এ হামলা হয়। আইএসের তা-বে দুই বছরে সিরিয়া হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। পালমিরা শহর দখলে নেয় আইএস। এরপর তারা সেখানকার ঐতিহাসিক নিদর্শন একের পর এক ধ্বংস করতে থাকে। আগস্টের শেষ দিনে আইএস গুঁড়িয়ে দেয় বেল মন্দির। শুধু তাই নয়, এ মাসে দুই হাজার বছরের পুরোনো পালমিরার আরও দুটি মন্দির ধ্বংস করে আইএস। ২৫ আগস্ট শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাল শামিন মন্দির ধ্বংস করে তারা। শুধু স্থাপনা ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি আইএস। পালমিরায় ৮২ বছর বয়সী প্রতœতত্ত্ববিদ খালেদ আল-আসাদের শিরñেদ করা হয়। গত বছর মে মাসে মিশরে একটি রাশিয়ান চালিত বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে ২২৪ মানুষ নিহত হন। ধারণা করা হয় সেটাও ছিল জঙ্গীদের কাজ। গত বছর ১৬ ডিসেম্বও তালেবান বন্দুকধারীরা উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে একটি সামরিক পরিচালিত স্কুলে ভয়াবহ হামলা চালায়। ঘটনায় ১৪৮ মানুষকে হত্যা করা হয়। যার অধিকাংশই শিশু। ২০১৪ সালে ৯ এপ্রিল করাচি বিমানবন্দরে তালেবানের হামলায় বহু হতাহত হয়। বিমানবন্দরে বন্দুকযুদ্ধে ১০ বন্দুকধারীসহ কমপক্ষে ২৮ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। কদিন পরই পাকিস্তানের কোয়েটায় বোমা হামলায় নিহত হন ৮১। শিয়া অধ্যুষিত হাজারা এলাকায় এ বোমা হামলায় তারা নিহত হয়েছেন। এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে সুন্নি জঙ্গী গোষ্ঠী লস্কর-ই-জংভী বা এলইজে? ২০০১ সালের পর বিভিন্ন জঙ্গী হামলার দিকে তাকালে দেখা যায়, ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দিল্লীতে ভারতীয় পার্লামেন্টে ভবন হামলায় নিহত হন সাতজন। ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতায় আমেরিকান কালচারাল সেন্টারে জঙ্গী হামলায় নিহত হন ৫ জন। ইসরাইলে ২৭ মার্চ পার্ক হোটেলে আত্মঘাতী হামলায় ৩১ জন নিহত হয়। ৩০ মার্চ ভারতের রঘুনাথ মন্দিরে হামলায় নিহত হয় ১১ জন। ১১ এপ্রিল তিউনিসিয়ায় ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলায় নিহত হয় ২০। ২০০২ সালের ১২ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জঙ্গী হামলায় নিহত হয়েছেন ২০২। ২০ অক্টোবর রাশিয়ার মস্কো থিয়েটার হলে চেসেন জঙ্গীদের হামলায় নিহত হয় ১৭০। ২০০৩ সালের ১২ মে সৌদি আরবে পশ্চিমাদের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় জঙ্গীরা। এতে নিহত হয়েছেন ৩৯। একই দিন রাশিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ নিহত হন। ১৬ মে মরক্কোয় হামলায় ৪৫ জন নিহত হন। ২৫ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ায় বাসে জঙ্গী হামলায় নিহত হয় ৫৪ জন। ২০০৪ সালের ৫ মার্চ গাজা স্ট্রিট বাসে বোমা হামলায় নিহত হন ১১ জন। ১১ মার্চ স্পেনে মাদ্রিদে ট্রেনে বোম হামলায় নিহত হন ১৯১ জন। আহত হন এক হাজার ৮০০ জন। ২৯ মে সৌদি আরবে নিহত হন ২২ জন। ২৮ জুলাই ইরাকে জঙ্গী হামলায় ৬৮ আহত নিহত হন। মিশরে ৭ অক্টোবর সিনাই উপদ্বীপ পর্যটন হোটেল লক্ষ্য করে ৩৪ জঙ্গীদের গুলি ও বোমা হামলায় ৩৮ জন জন নিহত হন। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনে সুইসাইড বোম্বারদের হামলায় ৫৪ নিহত হন। ২৯ অক্টোবর ভারতে সিরিজ বোমা হামলায় ৬০ জন নিহত হন। ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ফিলিপিন্সে ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্টের হামলায় ১৪ নিহত হন। ২০০৯ সালের ১৮ জুন সোমালিয়ায় আল-শাবার হামলায় নিহত হন ৩৫ জন। ২০১০ সালের ৩ মার্চ ইরাকে তিনটি বোমা হামলার অন্তত ৩৩ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হন। ২৯ মার্চ রাশিয়ায় মস্কো মেট্রো বোমা হামলায় ৪০ নিহত হন। ২৮ মে পাকিস্তানে আহমদিয়া মসজিদে হামলায় ৮৬ নিহত হন। ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানে গির্জায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ৫১ জনকে। ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইরাকে ইরাক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ১৩৭ জন। দুুদিনের মাথায় বাগদাদে বোমা হামলায় ৬৪ জন নিহত হন। ২০১২ সালে ইরাকে জঙ্গী হামলায় নিহত হন ১২৮ জন। ৯ সেপ্টেম্বর আক্রমণে নিহত হন ১০৮ জন। এরপর ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানে বোমা হামলায় ১৩০ জন নিহত হন। কদিনের মাথায় কেনিয়ায় শপিংমলে আক্রমণ ৬৭ জন নিহত হন। ২০১৪ সালের ২৮ জুলাই চীনে আক্রমণে ৩৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ২০১৫ সালে ১২ মার্চ ইরাকের জাদুঘরে আক্রমণ জঙ্গী হামলায় ২১ জন নিহত হন।
×