ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই মাস পরপর রাজস্ব সংগ্রহের গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩ জুলাই ২০১৬

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯ সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেছেন, রাজস্ব আহরণের কৌশল নির্ধারিত। তাই এ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবেই। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রাজস্ব সংগ্রহের কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে শুক্রবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে বোর্ড সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় নয়টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ২১২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। সভায় চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সব চেম্বার ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পার্টনারশিপ গড়ার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় চলতি অর্থবছরের ‘রাজস্ব সংগ্রহে সকল অংশীজনের ভূমিকা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১ জুলাই ২০১৭ থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পাদন, পরামর্শমূলক সভা ও অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করার সিদ্ধান্ত হয়। রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে এনবিআর থেকে সব কমিশনারেটের কার্যক্রম ও কমিশনারদের পক্ষ থেকে অধীন কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি দুই মাস পরপর রাজস্ব সংগ্রহের গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা সভা আগামী আগস্ট, অক্টোবর, ডিসেম্বর ও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুন মাসে হবে। সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মাঠ পর্যায়ের সব কমিশনারের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত দুটি প্রশিক্ষণ একাডেমির মান উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সব পর্যায়ের করদাতা সেবার মান উন্নয়নসহ নির্ধারিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ একাডেমির মান বৃদ্ধির জন্য প্রথমবারের মতো বিসিএস কর একাডেমি ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট একাডেমির আলাদা পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
×