ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে মার্কিন বিমান হামলায় ১১৬ বেসামরিক লোক নিহত

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৩ জুলাই ২০১৬

যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে মার্কিন বিমান হামলায় ১১৬ বেসামরিক লোক নিহত

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৪ জন থেকে ১১৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর দুই হাজার ৫০০ সদস্য নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এক নির্বাহী আদেশে শুক্রবার এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়েবসাইটের। প্রকাশিত নিহত বেসামরিকের এ সংখ্যাটি ‘টার্গেট কিলিং’ ও ড্রোন ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামার মেয়াদকালের ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিহতের এ সংখ্যা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর হিসাবকৃত সংখ্যা থেকে অনেক কম। তবে সংখ্যাটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকার করা নিহত বেসামরিকের সংখ্যা থেকে অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এসব অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তাদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা তুলে ধরতেই সংখ্যাটি প্রকাশ করেছে ওবামা প্রশাসন। লিবিয়া, পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকা, সোমালিয়া ও ইয়েমেনের মতো বিশৃঙ্খল জায়গায় চালানোর হামলার বেশিরভাগই ড্রোন থেকে চালানো হয়। স্বল্পসংখ্যক হামলা ঐতিহ্যগত বিমান ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থেকে চালানো হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় নিহত বেসামরিকের সংখ্যার হিসাব রেখে আসছে এমন মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রকাশিত এ সংখ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ‘সেন্টার ফর সিভিলিয়ান ইন কনফ্লিক্ট’ এর নির্বাহী পরিচালক ফেদেরিকো বোরেলো বলেছেন, হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকৃত সংখ্যাটি মোটেও প্রকাশ পায়নি, এতে অসন্তুষ্ট আমরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান, ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় চালানো ৪৭৩টি বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে ওবামা প্রশাসন। এসব হামলার অধিকাংশই পাকিস্তানে চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারী সংস্থাগুলো (এনজিও)। প্রকাশিত প্রতিবেদনে আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় চালানো যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত বেসামরিকদের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। এ কারণে নিহতের বেসামরিকদের মোট সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে বলে এক প্রতিবদেনে জানানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনীসহ ড্রোন হামলার পক্ষের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনারত জঙ্গী সংগঠনগুলোর সক্ষমতা অনেক হ্রাস পেয়েছে।
×