ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ পদ্মা সেতু বানাবার আগে আমরা সফটওয়্যার বানিয়েছি

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৩ জুলাই ২০১৬

একুশ শতক ॥ পদ্মা সেতু বানাবার আগে আমরা সফটওয়্যার বানিয়েছি

রেজা সেলিমকে আমি অনেক স্নেহ করি। ওর মতো লড়াকু মানুষ সচরাচর চোখে পড়ে না। এমন প্রযুক্তিমনস্ক মানুষ এবং তৃণমূলের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করার মতো যোদ্ধাও বিরল। বাগেরহাটে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের জীবন পাল্টে দিতে সে অসাধারণ কাজ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের নারীদের ক্যান্সারের চিকিৎসা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বা শিশুদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষার আয়োজনে রেজার অবদানের খবর দেশের অনেকেই রাখেন না। আমিও হয়ত পুরোটা জানি না। তবে ওর ডাকে আমি খুলনা-বাগেরহাট-রামপাল-শ্রীফলতলা ঘুরেছি বহুবার। সেই রেজা সেলিম গত ৩০ জুন ১৬ আমাকে একটি মেইল পাঠিয়েছিল। সেদিনই সরকারের টেলিকম বিভাগ মাইক্রোসফটের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে। রেজা সেলিম সেই প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেছে। তার মেইলটি পাঠ করার আগে আমি স্মরণ করতে পারি যে, ২৫ জুন ১৬ অনুষ্ঠিত বেসিস (বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) নির্বাচনে আমার নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল ব্রিগেড প্যানেলে আমরা সেøাগান দিয়েছিলাম দেশের পক্ষে, দেশের সফটওয়্যার ও সেবাখাতের পক্ষে। সেই নির্বাচন সমাপ্ত হবার পর আমাদের নিজেদের কাছে দেশের সফটওয়্যার ও সেবাখাতের মানুষ কিভাবে কাজ করে তার একটি দিকনির্দেশনা পৌঁছেছে। বেসিসের ৯টি পরিচালক পদের ৭টিতে আমরা জয়ী হয়েছি বিধায় আমরা মনে করতেই পারি যে, আমাদের ঘোষণার সঙ্গে বেসিসের ভোটাররা সংহতি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের পরপরই বাংলাদেশ প্রতিদিনের জিন্নাতুন নূর আমার সঙ্গে কথা বলে যার ভিত্তিতে ২৯ জুন ১৬ পত্রিকাটির প্রথম পৃষ্ঠায় আমার কিছু কথা প্রকাশিত হয়েছে। যদি সম্ভব হতো তবে পুরো আলোচনাটিই আমি তুলে ধরতাম। তবে সেই পরিমাণ ঠাঁই না থাকায় আমি সেখান থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরছি। রফতানি বাজার দখল করতে পারাটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটি অর্জন হবে। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে যে, বাইরের দিকে তাকাতে গিয়ে নিজের ঘর আমি অন্যের দখলে দিয়ে দিচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে ব্যাংকিং সফটওয়্যারের বাজার তৈরি করেছি। কিন্তু সে বাজার দখল করেছে বিদেশীরা। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের দেশের বাজার ও সফটওয়্যার বাণিজ্যে রফতানি শক্তিশালীকরণ। আমরা নিজেদের মেধা দিয়েই যেন এ বাজার সুরক্ষা করতে পারি। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে পারি যে, আজকের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন এবং আজকের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যখন প্রথমবার বাণিজ্যমন্ত্রী হন তখন ‘হাও টু এক্সপোর্ট সফটওয়্যার ফ্রম বাংলাদেশ’ নামক একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। আমি তার সদস্য ছিলাম। আমরা সরকারের কাছে ৪৫টি সুপারিশ পেশ করেছিলাম। বেসিসের জন্মও সেই প্রতিবেদনের একটি সুপারিশের ভিত্তিতে। সেই থেকে শেখ হাসিনার সরকার দেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি করার জন্য সহায়ক সব কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রফতানির ক্ষেত্রে আমরা যাই করে থাকি না কেন, নিজের দেশের বাজারে আমাদের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। জিন্নাতুন নূরের কাছে দেয়া সাক্ষাতকারে আমি বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। আমি বলেছি, আমাদের ডিজিটাল ব্রিগেড প্যানেলের নির্বাচনী সেøাগানের মধ্যে (আমরা দেশের পক্ষে, দেশের সফটওয়্যার ও সেবাখাতের পক্ষে) আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কিত দিকনির্দেশনা আছে। ‘আমরা বেসিসের জন্ম থেকে আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার মার্কেট ও সফটওয়্যার রফতানির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এ গুরুত্ব আমরা ধরে রাখব। বাংলাদেশে এখন যে বড় কাজগুলো হচ্ছে তা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো করতে পারছে না। এসব কাজ বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো করছে। এমনকি আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো টেন্ডারেও অংশ নিতে পারে না। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের সেøাগান দিয়ে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জীবনযাপন থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থা সবকিছু ডিজিটাল করতে চায়। এই হিসেবে বিবেচনা করলে ১৬ কোটি বাংলাদেশীর বাজার ইউরোপের প্রযুক্তি বাজারের চেয়ে বড়। বাংলাদেশে কেবল আমরা যাত্রা করেছি। অন্যরা এ বাজার অনেকটা নিঃশেষ করে দিয়েছে। সেদিক দিয়ে আমাদের বাজার অনেক বড়। আর আমরা নিজের বাড়ির বাজার যদি সুদৃঢ় করতে পারি তবে তা হবে আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। এজন্য সরকারের নীতি ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সরকারী কাজ করতে পারে, সে ধরনের আইন-কানুন সংশোধন করতে হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের যে মেধাসম্পদ আছে তার জন্য মেধা সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশের জায়গাগুলোকে অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে।’ আমি মনে করি, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, এর প্রাথমিক কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বড় মাপের কাজগুলো এখনও বাকি আছে। এর মধ্যে বড় মাপের কাজ বলতে দুটি কাজ চিহ্নিত করা যায়। এর একটি সরকারের নিজের ডিজিটালাইজেশন। অর্থাৎ সরকারী কাজগুলো সব ডিজিটাল পদ্ধতিতে হতে হবে। আরেকটি কাজ হচ্ছেÑ শিক্ষার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। এ দুটি জায়গায় যদি ট্রান্সফরমেশন করা যায় তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে; কিন্তু চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। এ দেশে চার কোটির মতো ছাত্র-ছাত্রী আছে। তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার জন্য সামগ্রিক পরিবর্তন, যেমন শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষকের পরিবর্তন, পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন, পাঠদান পদ্ধতির পরিবর্তন এবং তাদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছানো-এ ধরনের অনেক ব্যয়বহুল ও বিশাল কাজ করতে হবে। আর এটি সংশ্লিষ্টদের কাছেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে শিশুশ্রেণী থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ডিজিটালি পরিবর্তন আনা বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার হাতির মতো। দ্রুত ঘুরতে পারে না। কিন্তু সরকারের এই রূপান্তরটাও দ্রুত করা দরকার। আমরা আরও লক্ষ্য করছি যে, এ সরকার সাত বছর পার করেছে। কিন্তু এখনও একটি মন্ত্রণালয় বলতে পারবে না যে, আমরা কাগজ ছাড়া কাজ করি। কাজটা এত সহজে চুটকি বাজিয়ে করে ফেলার মতো নয়। এ কথা ঠিক যে, কিছু ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে মানুষের সেবার জন্য কিছু তথ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা কেবল যাত্রা শুরু করেছি, যা পুরো কাজের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রকৃতপক্ষে গোটা দুনিয়ার চিত্র বদলে গেছে। শ্রমবাজারেও এর পরিবর্তন এসেছে। শ্রমবাজার দুই ধরনের। একটি হচ্ছে কায়িক শ্রমনির্ভর, অন্যটি মেধানির্ভর। এতদিন ধরে আমাদের শ্রমবাজার ছিল কায়িক শ্রমনির্ভর। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আমাদের মেধাভিত্তিক শ্রমবাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর এজন্য আমাদের শ্রমশক্তিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষিত করতে হবে। দেশের সাইবার অপরাধ রোধে বেসিস কাজ করছে। বিশেষ করে এ ব্যাপারে ইন্টারনেট ব্যবহাকারীদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি আমরাও গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। পাশাপাশি সরকারের সাইবার অপরাধ দমনে আইনগত ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমরা আশা করছি সাইবার সিকিউরিটি আইন দ্রুত পাস হবে। কারণ আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সেভাবে তৈরি হয়নি। আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটির জন্য এ খাতে আরও অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, এখন লাঠি দিয়ে নয়, প্রযুক্তি দিয়ে অপরাধ দমন করতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি রেজা সেলিমের মেইলটার কথা বলতে পারি। গত ৩০ জুন রেজা আমাকে মেইলটা পাঠায়। প্রিয় জব্বার ভাই, আজ সন্ধ্যায় আপনার সাক্ষাতকার দেখছিলাম চ্যানেল ২৪-এ। তখন থেকেই ভাবছিলাম একটা লিখিত অভিনন্দন আপনাকে জানাই। একটু আগে এই খবরটি দেখে বুঝলাম বেসিস সভাপতির দায়িত্ব নেবার শুরুতেই আপনাকে কী রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আজ আপনি যা যা বলেছেন আর আমি জানি আপনি যা বিশ্বাস করেন এই চুক্তি তার সম্পূর্ণ বিপরীতে। ২০০৫ সালে আমি আইটি ইউ-র সাইবার ফেলো হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছিলাম। আমার অধ্যয়ন ও অভিজ্ঞতায় আমি বিশ্বাস করি যদি আমাদের দেশে সঠিক নীতিমালা থাকে তা হলে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে বর্তমানে দক্ষতার যে হালে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি অন্তত ২০১৬ সালে এসে আমাদের বিদেশের (বা মাইক্রোসফটের) সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে চুক্তি করার কোন দরকার নেই। এই যে ভুল প্রবণতা তার জন্য আপনি আমাদের দেশের মৌলিক সফটওয়্যার উদ্ভাবন ও বিপণন নীতিমালা প্রণয়ন করে বাংলাদেশের তরুণ মেধাবীদের জন্য একটি মুক্তির পথ খুঁজে দেবেন আর তা আপনার নেতৃত্বেই সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ২০১০ সালে আমি আমাদের দেশের ৪ জন অতি তরুণ বিজ্ঞানীকে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য ডাটা সংরক্ষণের সফটওয়্যার তৈরি করিয়েছি, যা আমাদের গ্রাম ক্যান্সার ই-হেলথ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাইক্রোসফট তখন এরকম কাজে তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে সে আমলে ২ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। আমাদের করতে লেগেছিল ৩ লাখ টাকা। এই ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার মহিলার প্রায় অর্ধ কোটি উপাত্ত সংরক্ষিত আছে ও এই ডাটাবেজ সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটা আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে (ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্য নিরাপত্তার কোন আইন না থাকায় আমরা নিজেরাই একটা অভ্যন্তরীণ নীতি করে নিয়েছি)। এছাড়া ক্যান্সার চিকিৎসায় মোবাইল ফোনের বেশ ক’টি আন্তর্জাতিকমানের সেবা পদ্ধতি নির্মাণের কাজে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশী প্রযুক্তিবিদদের সহায়তা নিয়েছি, যা খুবই অনুপ্রেরণামূলক। আমি যেটুকু বুঝি, আমাদের দরকার- ১. সফটওয়্যার তৈরি ও রফতানি বিপণনে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে আমাদের সবগুলো দূতাবাসের কমার্শিয়াল শাখাকে সম্পৃক্ত করা; ২. বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের অভ্যন্তরীণ কাজে সম্পৃক্ত করা; ৩. দেশে নিয়মিত নিত্যনতুন কাজের জন্য ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করে দেশের ও বিদেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়া। আপনি জানেন বহুকাল আগে থেকেই আপনার কাজ ও নেতৃত্বের প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আপনার যে কোন কাজে বিন্দুমাত্র সহায়তার প্রয়োজন হলে আমাকে পাবেন। আপনার স্নেহধন্য- রেজা সেলিম আমার ধারণা পাঠকবৃন্দ রেজা সেলিমের বক্তব্য থেকে নিজেরা ধারণা করতে পারছেন কিভাবে আমরা ভুল পথে হাঁটি। আমরা দেশের ডিজিটালাইজেশনের জন্য যেভাবে ভুল পথে হাঁটি সেটি ছেড়ে দেশের মেধা, দেশের সফটওয়্যার দিয়ে আসুন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ি। মনে রাখবেন পদ্মা সেতু বানাবার আগেই আমরা সফটওয়্যার বানাতে শিখেছি। সেই আশির দশকে আমরা সুইডেনের ভলভোকে সফটওয়্যার বানিয়ে দিয়েছি। এখনও বিশ্বের ১৮০টি দেশে সফটওয়্যার ও সেবা দিই। কেন আমরা আমাদের দেশের ডিজিটাল রূপান্তর করতে পারব না? ঢাকা, ১ জুলাই, ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×