অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় নিহত ২০ জন বিদেশি এবং সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ৬ জন সন্ত্রাসীর মরদেহসহ মোট ২৬টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৩টি অ্যাম্বুলেন্সে করে ২৬টি মরদেহ নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ময়নাতদন্তের জন্য এসব লাশ সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে আইএসপিআরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমান্ডো অভিযানের আগে রাতেই হামলাকারীরা ২০ জিম্মিকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। অভিযানে নিহত হয় ছয় হামলাকারী।
আইএসপিআরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল মৃতদেহগুলোকে প্রচলিত নিয়ম মেনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে।
এরপর দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাশগুলা ক্যাফে থেকে বের করে লনে রাখতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এরপর ১৩টি অ্যাম্বুলেন্স লাশগুলো ক্যাফে প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যায়।
অ্যাম্বুলেন্স চলে যাওয়ার পর ডিএমপির উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই রেস্তোরাঁটি ঘিরে রেখেছে। ওই রেস্তোরাঁয় এখন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
“বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখবেন, জায়গাটি নিরাপদ রয়েছে কি না? সেখান থেকে এভিডেন্স সংগ্রহের কাজ করা হবে।”
কূটনীতিকপাড়া গুলশানের লেকের ধারে এই ক্যাফেটির খোলামেলা পরিবেশ বিদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল। শুক্রবার জঙ্গিরা হানা দেওয়ার সময় ওই রেস্তোরাঁটিতে অনেক বিদেশি ছিলেন। এর মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানি বেঁচে যান।