ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ২ জুলাই ২০১৬

ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো কর্মমুখর

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ দিনরাত তাঁতের খট খট শব্দ জানান দিচ্ছে, তঁত শিল্প মন্দা কাটিয়ে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন বাজার মন্দার পর ঈদের সামনে সিরাজগঞ্জ জেলার তাঁত পল্লী গুলো কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। মালিক ও শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার বিভিন্ন তাঁত পল্লীতে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত আধুনিক রুচিশীল কাপড়। জামদানি, সুতি জামদানি, সুতি কাতান, চোষা, বেনারসি, শেড শাড়ি ও লুঙ্গি তৈরি হচ্ছে তাঁত পল্লীগুলোতে। শাড়ির ওপরে বর্ণিল সুতা, বাক ও চুমকির কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কাপড়ের ওপর প্রিন্ট এবং রঙতুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা। আর বিভিন্ন নকশার তৈরী কাপড়ের চাহিদা ও সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে ভারত, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। ঈদ সামনে রেখে ক্রেতাদের নজর কারতে ভারতের বিভিন্ন চ্যানেলের সিরিয়ালের নাম অনুযায়ী কাপরের নাম রাখা হচ্ছে, এবছরে কিরন মালা, মিলন তিথি, পালকি, গাথা, ঐশ্বর্য ও স্বর্নলতা নামে নতুন শাড়ি বাজারে এনেছেন বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুরের তাঁতিরা। হাফ সিল্কের ওপর ঝুটের মনমুগ্ধকর নকশা করা। কাপড় খুললেই স্বর্ণের মতো ঝলমল করে বলেই এর নাম রাখা হয়েছে স্বর্ণলতা। ইতোমধ্যেই এ শাড়ি ক্রেতাদের মন কেড়েছে। বাজারে এর দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণলতা কাপড় প্রস্তুতকারক শাহজাদপুরের দরগাপাড়া গ্রামের তাঁতি আলহাজ আজমল কবীর বলেন, রুচিশীল ক্রেতাদের বিষয়টি খেয়াল রেখেই ভারত থেকে জুট এনে তা দিয়ে হাতে বিভিন্ন নকশা করে স্বর্ণলতা শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ শাড়ির প্রকৃত নাম সাউথ কাতান। ইতোমধ্যে বাজারে এ শাড়ির চাহিদা আকাশছোঁয়া। তার কারখানায় উৎপাদিত কাপড় আগাম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
×