ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতির লাইফলাইন ॥ প্রত্যাশার দুয়ার খুলছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২ জুলাই ২০১৬

অর্থনীতির লাইফলাইন ॥ প্রত্যাশার দুয়ার খুলছে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ দ্বার খুলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ফোর লেন প্রকল্পের। অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত যোগাযোগ খাতের বড় এ দুই প্রকল্পের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা এগারোটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হবে আরও দুটি চার লেনের রাস্তা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দুটি প্রকল্প শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগ খাত আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম যেতে সময় লাগবে আগের চেয়ে অর্ধেক। এতে দুই অঞ্চলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়বে। কমবে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন ব্যয়। যানজট সমস্যারও সমাধান হবে ফোর লেন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরামদায়ক, সহজতর, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড় থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়, যা ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা এ পর্যন্ত আসে। ১০ প্যাকেজের ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। একমাত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোর গাফিলতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পাঁচ বছরের বেশি সময় লাগল কাজ শেষ হতে। বেড়েছে নির্মাণ ব্যয়ও। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক চালু হলে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের উদ্বোধনের পর দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া-আসা যাবে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চার লেন চালু হলে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে উৎপাদিত শিল্প ও কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে সহজেই পরিবহন করা যাবে। মহাসড়ক দুটি চার লেনে উন্নীত হলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমে যাবে, পরিবহন ব্যয়ও কমবে বলে জানান পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক ॥ দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উদ্বোধনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে শুক্রবারই। সাজানো-গোছানো নতুন এই সড়কে গাড়ি চলছে আগে থেকেই। এখন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে লেগেছে প্রায় ছয় বছর। ১৯২ কিলোমিটার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি প্রকল্প। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়কপথে যোগাযোগ যুগোপযোগী, সহজতর, দ্রুত, যানজটমুক্ত ও উন্নততর করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুততর, নিরাপদ, যানজটমুক্ত ও সহজতর হলো, যা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা বহন করবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের কাঁচপুর (মুক্তিসরণি) থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত অংশে এক মিটার প্রশস্ত ডিভাইডারসহ চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সমাপ্ত হয়। এ মহাসড়কের দাউকান্দি হতে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার অংশকে চার লেনে প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি এডিপিভুক্ত অনুমোদিত প্রকল্প। মোট ১৫ প্যাকেজর মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এরমধ্যে সড়ক নির্মাণে দশটি প্যাকেজ ও সেতু নির্মাণে তিনটি প্যাকেজ তথা পূর্ত কাজে মোট তেরোটি প্যাকেজ, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে একটি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগে একটি প্যাকেজ রয়েছে। তৃতীয় সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে সরকারের পাশাপাশি অর্থায়ন করছে জাপান ঋণ মওকুফ তহবিল-জেডিসিএফ। প্রকল্পের আওতায় ২৩ সেতু নির্মাণ, ২৪২ কালভার্ট নির্মাণ, ৩ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ ১৪ সড়ক বাইপাস নির্মাণ, দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ, ৩৪ স্টীল ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ ও ৬১ বাস-বে নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর অংশ ইতোমধ্যে আট লেনে উন্নীত করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা- গতিশীল হওয়ায় এ সড়কের ওপর যানবাহন এবং পণ্যবাহী পরিবহনের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এ মহাসড়কে বিদ্যমান কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু তিনটি বাড়তি যানবাহনের চাপ মোকাবেলা করতে পারছে না। এ বাস্তবতায় সরকার জাইকার অর্থায়নে বিদ্যমান ৩ সেতুর পাশে আরও ৩ নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছে। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকা- বিবেচনায় নিয়ে সরকার সদ্যসমাপ্ত চার লেন মহাসড়কের পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে। চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ভ্রমণের সময় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তে এখন মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে। এতে যানজট লাঘবের পাশাপাশি দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে আসবে। স্বল্পসময়ে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন সহজতর, সাশ্রয়ী হলো। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পের কাজ দশটি প্যাকেজে ভাগ করে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। এর মধ্যে দেশী প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশনকে দুটি ও টিবিএল-এসিএলকে দেয়া হয় একটি প্যাকেজ। বাকি সাত প্যাকেজের কাজ দেয়া হয় চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনকে। প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় সময় বাড়ানো হয় দ্বিতীয় দফা ডিপিপিতে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ব্যয়ের পরিমাণও। কিন্তু নতুন সময়সূচী অনুযায়ীও শেষ করা যায়নি। তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয় ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত। এই সময়ে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। পরে আরও এক দফা সময় এবং ব্যয় বাড়ে এ প্রকল্পের। তাতে রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কাজের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আর সর্বশেষ অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী এ প্রকল্পের ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় একদিকে জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি যেমন বাড়ে তেমনি প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়েছে গাণিতিক হারে; যার ফলে তিন বছরের কাজ শেষ হতে লেগেছে পাঁচ বছরেরও বেশি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বহুবার প্রকল্পের কাজ ঝুলে যাওয়ার জন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোকে দায়ী করেছেন। বলা হয়েছে, এই্ প্রতিষ্ঠানের কাজে গাফিলতি ও চুক্তি অনুযায়ী সময়মতো কাজ না করায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। প্রস্তুত জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক ॥ সড়কটি উদ্বোধন উপলক্ষে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত পুরো রাস্তার কাজ শেষ। হয়েছে পিচ ঢালাই। রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টের দু’পাশে বর্ণিল কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূল রাস্তার কাজ শেষ হলেও অন্তত ৩০ কিলোমিটার সড়কের ডিভাইডার ও দুপাশের কার্নিশের কাজ বাকি। যা শেষ করতে সময় লাগবে অন্তত ১৫ দিন। এখন এ মহাসড়কে দিনে চলাচল করছে ২৫ হাজার গাড়ি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের (পশ্চিম) আওতায় ১৭ ইসিব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং গত বছরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিংহভাগ কাজ শেষ করে। আর প্যাকেজ-৪ ও ৩-এর আংশিক কাজ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল গাজীপুর জেলা। কৃষিজাত পণ্যের ভা-ার বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলার জনসাধারণের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পূর্বে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাতায়াত করতে প্রায় চারঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হতো। এখন ভ্রমণসময় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ হতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহন সময় ও ব্যয় কমে এসেছে। সড়ক বিভাগ বলছে, ইতোপূর্বে জয়দেবপুর হতে ময়মনসিংহ পর্যন্ত যাতায়াতে মাওনা চৌরাস্তার যানজট ছিল অসহনীয়। প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কের মাওনায় একটি উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বর্তমানে যানজট ছাড়াই যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কটিতে মিডিয়ান নির্মাণসহ ১৫৫ কালর্ভাট, পাঁচ নতুন সেতু, একটি ফ্লাইওভার, একটি রেলওভার পাস, পথচারীদের নিরাপদ সড়ক পারাপারের লক্ষ্যে চারটি স্টীল ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটির ন্যূনতম প্রশস্ততা ২১ দশমিক ২ মিটার। বাজার ও বাণিজ্যিক অংশে প্রশস্ততা প্রায় ২৫-৩৫ মিটার। এ সড়কের বিশেষ দিক হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সড়কের দশটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাস-বেসহ ৩ হাজার ৪২৫ মিটার কংক্রিট পেভমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। যানবাহন চালকসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাইন সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে মহাসড়কটিতে দুর্ঘটনা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মহাসড়কে ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও পরিবেশবান্ধব করতে ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে নানান প্রজাতির গাছ এবং ঋতুভিত্তিক ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে। মহাসড়কটি দৃষ্টিনন্দন করতে গাজীপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চল অংশে মিডিয়ান নয় মিটার প্রশস্ততায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি চারটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের দুটি প্যাকেজে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে মাওনা পর্যন্ত ৩০ দশমিক ২৫ কিলোমিটার অংশের জন্য ৩৩০ কোটি টাকায় ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল এইচআরবিসি ও ইন্ট্রাকো বিডিকে। মাওনা থেকে ত্রিশালের রায়মণি পর্যন্ত ২৯ দশমিক ৬০ কিলোমিটার চার লেন করার ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয় এমবিইসি-পিবিএলকে (যৌথ)। তাদের সঙ্গে চুক্তি হয় প্রায় ২৮৪ কোটি টাকার। রায়মণি থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বাকি ২৭ দশমিক ৩৩ কিলোমিটারের কাজ পায় এসইএল-টিওএমএ (যৌথ)। এক পর্যায়ে ইন্ট্রাকো কাজ পেতে জালিয়াতি ধরা পড়ায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে সরকার। সৃষ্টি হয় মামলা সংক্রান্ত জটিলতার। ফলে দেড় বছরের বেশি সময় প্রকল্পের কিছু অংশে কাজ বন্ধ থাকে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ৯৯২ কোটি টাকা। অবশ্য পরবর্তীতে একাধিকবার ব্যয় বেড়ে গিয়ে সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
×