ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২ জুলাই ২০১৬

কবিতা

খুশবুহীন আতরদানি রবিউল হুসাইন আমার ভীষণ জিদ আজকে কেন ঈদ জামা-কাপড় টুপি আতর কিংবা মা-বোনের আদর কোন কিছুই নেই আমার যেমন করে আছে সবার আমার কপাল খারাপ খুব বাপ-মা মরা এতিম আমি দুখ-সাগরে দিয়েছি ডুব নিঠুর পাথর অন্তর্যামী কেমন করে ঈদের সুখে পাড়ি দেব এমন দুখে তাই তো আমার জীবনখানি খুশবুহীন আতরদানি ঈদ উৎসব মোরশেদ কমল চাঁদটা ঈদের খুশি আনে সবার ঘরে ঘরে... সেই আদিকাল থেকেই ঈদে আনন্দে মন ভরে; এই যুগেতে ঈদকে নিয়ে- ভাববো নতুন করে। ঈদ হবে তো সকল জাতের; খুশিই ঈদের মানে... হিন্দু, মুসলমান, খ্রীস্টান ঈদকে মনে প্রাণে- মেনেই করুক, ঈদ উৎসব জগত যেন জানে...। ঈদ আনন্দে মিলন সব্যসাচী ঈদ আনন্দে নাচছে খুকু নূপুর পরা পায়ে, আজকে খুশির ঝড় উঠেছে নীরব নিঝুম গাঁয়ে। খোকার নাচন তাধিন-তাধিন মায়ের আঁচলতলে, আনন্দ আজ বাঁধ ভেঙ্গেছে হাসির অশ্রুজলে। কোর্মা পোলাও ফিন্নি খাবে গাঁয়ের সবাই মিলে, খুশির খুশবু ছড়িয়ে দেবে দূর আকাশের নীলে। অনাথ শিশুর মুখে আবার ফুটবে মধুর হাসি সুদূর বনে উঠবে বেজে সবুজ পাতার বাঁশি। অনাথ শিশুর ঈদ মোশাররফ হোসেন ভূঞা উদাম গায়ে অনাথ শিশু একলা পথে নগ্ন পায়, ঈদের দিনে দুখের আগুন জ¦লছিল তার শীর্ণ গায়! মা-বাবাকে পায় না খুঁজে নেই তো বুকে মনোবল, বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলোই ঝরায় শুধু চোখের জল। মেরিনা তার দুঃখ দেখে বুলিয়ে দেয় মাথায় হাত, আদর করে ফিন্নি পায়েস আরও খাওয়ায় পোলাও ভাত। তুষার দিল একটি জামা রক্ত-জবার মতো লাল, সেই খুশিতে শিশুর মনে আনন্দ ঢেউ চিরকাল। খুশির ঈদ ফারহানা মোবিন ঈদ মানে অনেক খুশি অনেক কিছু পাওয়া, ঈদ মানে আনন্দ মুক্ত মাতাল হাওয়া। ঈদ মানে নতুন জামা মজার মজার খাবার, ঈদের পরবীতে পকেট ভরবে আবার। ঈদ হোক ধনী গরিব সব পরিবারের জন্য, ছোট বড় সবাই হোক মানুষ হিসেবে গণ্য। ঈদের দিনে হামিদ মোহাম্মদ জসিম ঈদ মানেই তো সবাই মিলে খুশি থাকার দিন, ধনী-গরিব নেই ভেদাভেদ মনটা অমলিন। ঝগড়া-বিবাদ-ফ্যাসাদ ভুলে কাঁধে মিলাই কাঁধ, তাই আনন্দে মেতে উঠি দেখেই ঈদের চাঁদ। মিষ্টি-স্বাদের খাবার খেয়ে নতুন জামা গায়ে, ঈদগাহ মাঠে যাই এগিয়ে আমরা ধীর পায়ে। নামাজ শেষে কোলাকুলি করি সবাই মিলে, মন খুশিতে ভরে উঠে শান্তি লাগে ‘দীলে’। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সুখ-আনন্দে মাতি, ঈদের দিনে হয়ে উঠি এক ‘বাঙালি জাতি’।
×