স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাময়িক বরখাস্তকৃত কানুনগো মোহাম্মদ আলীকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার রাতে ঢাকার শ্যামলীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেন।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মোহাম্মদ আলী তার অধিকাংশ সম্পত্তি করেছেন আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের পরিচিত দরিদ্র মানুষের নামে। এর মধ্যে মা-বাবার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্ত্রী শামীমা আক্তারের নামে শ্যামলীতে পাঁচ তলা বাড়ি এবং গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে জমি থাকার তথ্যও তদন্তে উঠে আসে।
এছাড়া মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চাকরীতে যোগদানের চার বছরের মধ্যে নিজের দায়িত্বের পাশাপাশি জেষ্ঠ্যদের ডিঙিয়ে অতিরিক্ত কিছু দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ ওঠে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ডিসিসির ভূ সম্পত্তি শাখার কর্তা ব্যক্তিদের একজন হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে ডিসিসির মালিকানাধীন মার্কেটগুলোর প্রায় দুই শতাধিক দোকান তিনি তার বন্ধু-বান্ধব, এলাকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীদের নামে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
দূর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এসব বিষয়ে অনুসন্ধানের সময় বেশ কয়েকবার মোহাম্মদ আলীকে দুদক তলব করে। তিনি দুদককে কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মোহাম্মদ আলী।
এরপর ২০১৫ সালে রাজধানীর রমনা থানায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলার অবৈধভাবে ২৩ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে ২০০৫ সালে ডিসিসিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। তিনি ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি কানুনগো পদে পদোন্নতি পান। ২০১০-২০১১ করবর্ষে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) খুলেন। আয়করের তথ্য অনুযায়ী, তার ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৩ টাকার সম্পদ থাকার কথা থাকলেও ২০১৫ সালে সম্পদের বিবরণীতে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৪১৮ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়। বাকি ২২ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৫ টাকা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেন। এর আগে দুর্নীতির মামলায় হাজিরার জন্য আলী আহম্মেদ নামের একজনকে মোহাম্মদ আলী সাজিয়ে আদালতে পাঠিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এই মোহাম্মদ আলী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: