ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৩০ জুন ২০১৬

ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে আলোচনা

সংসদ রিপোর্টার ॥ ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। তবে দীর্ঘ মেয়াদী ভিসা প্রদানের বিষয়টি একান্তই ওই দেশটির সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। ভিসা প্রদানের ব্যাপারটি যে কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। তা সত্ত্বেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের ভিসা সহজীকরণ বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ভিসা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষেত্রভেদে ট্যুরিস্ট ভিসা ১ বছর এবং বিজনেস ভিসা সর্বোচ্চ ৫ বছরের জন্য প্রদানের ব্যবস্থা আছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি জানান, দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। প্রচলিত ক্ষেত্রসমূহ ছাড়াও নতুন নতুন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার দ্বার উ¤েœাচিত হয়েছে। মন্ত্রী জানান, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ার কারণে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক প্রতিনিয়ত পর্যটন, ব্যবসা, চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য ভারতে গমণ করছে। ফলে ভারতে ভ্রমণেচ্ছুক যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ভিসা গ্রহণের চাহিদও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়া ও ভিসা প্রাপ্তিতে বাংলাদেশী নাগরিকদের অসুবিধার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হয়েছে। এটি আমাদের উচ্চ পর্যায় হতে ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জোরালোভাবে বারংবার উত্থাপন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চূক্তি রয়েছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রেডনোটিশধারী পলাতক আসামী সাজ্জাদ হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারত সরকারের কাছে বহিঃসমর্পণ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ইন্টারপোল রেডনোটিশধারী আসামী মোল্লা মাসুদকে দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া নুর হোসেনকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ইসরায়েল ব্যতীত জাতিসংঘভূক্ত সকল সদস্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫৭টি দূতাবাস রয়েছে। এছাড়া ১৫টি কনস্যুলেট/ কনস্যুলেট জেনারেল/ উপ ও সহকারী হাইকমিশন রয়েছে। ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে একটি সহকারী হাইকমিশন শীঘ্রই খোলা হবে।
×