ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ॥ ‘সুপার ১০’ থেকে ‘সুপার ১২’

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৩০ জুন ২০১৬

টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ॥ ‘সুপার ১০’ থেকে ‘সুপার ১২’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ পর্যন্ত মোট ছয়বার টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন হয়। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এ স্বল্প ওভারের বিশ্বকাপে চারবার ১২ দল নিয়েই চূড়ান্ত পর্ব হয়েছে। কিন্তু ২০০৭, ’০৯, ২০১০ ও ’১২ সালের পর সব পাল্টে যায়। ১০ দল খেলে চূড়ান্ত পর্বে। এরপর একটা সময় র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকা দল সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়। র‌্যাঙ্কিংয়ের নবম ও দশম দল সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাছাইপর্ব খেলে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের সেরা দুই দল র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দলের সঙ্গে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ করে নেয়। ২০১৪ সাল থেকে এ নিয়ম চলে। এ বছর মার্চেও তাই বজায় থাকে। তবে পরের টি২০ বিশ্বকাপে আর এ নিয়ম থাকছে না। ‘সুপার ১০’ থেকে হয়ে যাবে ‘সুপার ১২‘। মানে চূড়ান্ত পর্বে ১০ দল খেলত। সামনের আসর থেকে খেলবে ১২ দল। যে আসরটি ২০১৮ সালে হবে। মাঝখানে ২০১৮ সালে টি২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল না। ২০১৬ সালের পর ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু টি২০ ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং মাঝপথে বৈশ্বিক টি২০ আসরের অভাববোধ থেকে আবারও ২০১৮ সালে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা করছে আইসিসি। আর সেই ভাবনায় এবার সেরা ১২ দল নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব করার কথাও ভাবছে। আইসিসির চলমান বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্তই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হংকং ক্রিকেট এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টিম কাটলার। ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি যেটা শুনেছি তা হলো, প্রথম রাউন্ডের (বাছাইপর্ব) দুটি গ্রুপ থেকে চূড়ান্ত পর্বে যাবে দুটি করে দল। পরবর্তী রাউন্ডটি হবে সুপার ১২। এ মুহূর্তে এই ফরমেট নিয়ে সবাই সম্মত হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। আশা করছি, আরও দুটি দল অংশ নিতে পারবে বাছাইপর্বে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮টিতে। যদিও সেটা নিশ্চিত না। কিন্তু যেটা অনেকটাই নিশ্চিত তা হলো ১৬ দলের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত পর্ব খেলা হবে ১২ দল নিয়ে। এটা একটা সঠিক পদক্ষেপ।’ এ বছর টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেশ আক্ষেপই করেছিলেন স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। এমনিতেই বড় দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এসেও তারা পাননি নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ। বিদায় নিয়েছিলেন মাত্র তিন ম্যাচ খেলে। বৃষ্টির বাধায় সেই তিন ম্যাচও তারা ঠিকমতো খেলতে পারেননি। টি২০ বিশ্বকাপের পরিসর বাড়ানোর দাবিটা তখন উঠেছিল জোরেশোরেই। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে নতুন করে। ২০১৮ সালের পরবর্তী টি২০ বিশ্বকাপের পরিসর বাড়ানোর সিদ্ধান্তই হয়তো নিতে যাচ্ছে আইসিসি। টি২০ বিশ্বকাপের বর্তমান ফরম্যাট অনুযায়ী শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইটা হয় ১০ দলের মধ্যে। র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার সুযোগ পায় প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে আসা দুটি দল। তবে পরবর্তী টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে মূলপর্বে আসতে পারে চার দল। সে ক্ষেত্রে শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত লড়াইটা হবে ১২ দলের মধ্যে। এ বছর যদি এই নতুন পদ্ধতিতে খেলা হতো, তাহলে চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেত হল্যান্ড ও জিম্বাবুইয়ে। বৃষ্টির কারণে প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলারই সুযোগ পায়নি ডাচ্রা। একটি ম্যাচে খেলতে পেরেছে মাত্র ৬ ওভার। অপর রাউন্ডে তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতেও বিদায় নিতে হয়েছে জিম্বাবুইয়েকে।
×