ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চারুকলায় ৩ দিনের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৩০ জুন ২০১৬

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চারুকলায় ৩ দিনের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পহেলা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি দলীয় চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে বুধবার দুপুরে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। চারুকলা অনুষদের ৫৮ জন শিক্ষকের ৫৮টি শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন। চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও আবুল বারক আলভী যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন শেখ আফজাল হুসাইন। এক্রেলিক, জলরং, তেলরং, মিশ্রমাধ্যম, উডকাটসহ নানা মাধ্যমের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। ৫৮টি শিল্পকর্মের মধ্যে ভাস্কর্য রয়েছে ৩টি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ প্রদর্শনী শেষ হবে পহেলা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ॥ ‘আমি মাঝে মধ্যে আমাদের দেশের টেলিভিশন নাটক দেখি। সত্যিকার অর্থে ভাল নাটক টিভিতে তেমন হচ্ছে না। গল্প, নাট্যরূপ, সংলাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুবই দুর্বল। কেমন যেন দায় সারার জন্য নাটক লেখা হচ্ছে। আমাদের সময় নাটক লেখা বা অভিনয় পেশা ছিল না। এখন অনেকেই এ পেশায় এসেছেন। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা এখন অনেক বেশি নাটক লেখা করার ক্ষেত্রে পড়ে গেছি। আবার যারা নাটক লিখছেন বা তৈরি করছেন তাদের উপযুক্ত আর্থিক মূল্য ক্রেতারা দিচ্ছেন না। যৎ সামান্য যে মূল্য পান তা দিয়ে ভাল নাটক হয় না। এভাবে চলতে পারে না। ভাল নাটক পেতে গেলে ভাল পয়সা দিতে হবে’- রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে বুধবার বিকেলে আয়োজিত ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আরএফএলের পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ ড্রিংকইট ও বৈশাখী টেলিভিশনের যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএফএলের পরিচালক আর এন পাল, প্লাস্টিকের বিপণন কর্মকর্তা আরাফাতুর রহমান, বৈশাখী টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান আহসান কবির, প্রতিযোগিতার বিচারক, লেখক আনিসুল হক, চলচ্চিত্র ও নাট্য নির্মাতা গাজী রাকায়েত, কায়েস চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈশাখী টেলিভিশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু আলম। এবার ঈদের নাটকের জন্য ‘তোমার গল্পে সবার ঈদ’ শীর্ষক গল্প লেখা প্রতিযোগিতার শিরোনাম ছিল ‘লেখো গল্প, হও নাট্যকার’। নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ গল্পকার হলেন আসিফ ইমতিয়াজ (গল্প-এফএম মাইক, নাট্যরূপ ও পরিচালক মারুফ মিঠু), সাবিক চৌধুরী (গল্প-শর্ত প্রযোজ্য, পরিচালক মাহমুদ দিদার), ইলিয়াস নাহিদ (গল্প-বাইচ্চা সেলিম, নাটক-বাকি চাহিয়া লজ্জা পাইবেন, পরিচালক হাসান মোরশেদ), হুমায়ুন রশিদ (গল্প-বড় বিদ্যা ভাল নয়, নাটক-লাগেজ, পরিচালক আরিফ আহমদ) ও তামিম রহমান (গল্প-চাই শিক্ষিত চোর পত্র, পরিচালক সকাল আহমেদ)। প্রতিযোগিতায় এবার সারাদেশ থেকে ১১ হাজার ৪২৩টি গল্প জমা পড়ে। সেখান থেকে কয়েক ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচন করা হয় সেরা পাঁচটি গল্প। এই সেরা পাঁচটি গল্প থেকে তৈরি করা হয়েছে এবার ঈদের পাঁচটি হাসির নাটক। যা ঈদের দিন থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচার হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিনেতা জাহিদ হোসেন শোভন। সব শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের মূলমান ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাংলা একাডেমি ও নেপাল একাডেমির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ॥ বাংলা একাডেমি ও নেপাল একাডেমির মধ্যে ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-দর্শন ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক নানামাত্রিক গবেষণা, শিক্ষা ও উন্নয়ন সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বুধবার সকালে। একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এবং নেপাল একাডেমির চ্যান্সেলর মি. গঙ্গাপ্রসাদ উপ্রেতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স সুশীল লামসাল, নেপাল একাডেমির সদস্য অধ্যাপক জগৎ প্রসাদ উপাধ্যায়, সীতারাম বুধাথকি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অনুবাদ পাঠ্যপুস্তক ও আন্তর্জাতিক সংযোগ বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, আমরা প্রাচ্যমুখী এশীয় জাগরণের প্রত্যাশী। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক সামঞ্জস্যের কারণে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র অনেক বেশি। বাংলা একাডেমি ও নেপাল একাডেমির মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক প্রতিবেশী দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা বয়ে আনবে বলে আমরা আশা করি। নেপাল একাডেমির চ্যান্সেলর মি. গঙ্গাপ্রসাদ উপ্রেতি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বমূলক ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নেপাল একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক আরও জোরদার করবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা একাডেমি ও নেপাল একাডেমির মধ্যে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক সমঝোতা স্মারক নানাদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা সাহিত্য ও বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে নেপালের নামটি বিশেষভাবে যুক্ত হয়ে আছে। কারণ নেপালেই বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
×