ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভাঙ্গায় র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়া ৮ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৩০ জুন ২০১৬

ভাঙ্গায় র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়া ৮ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৯ জুন ॥ ভাঙ্গায় র‌্যাব পরিচয়ে ৮ জনকে তুলে নেয়ার দুইদিন পরও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর ফলে ওই এলাকায় আতঙ্ক ও অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা। জানা যায়, সোমবার শেষ রাতে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ও আজিমনগর ইউনিয়নের ৫ গ্রাম থেকে ৮ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের পরিবারের অভিযোগ, র‌্যাব পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে যায়। অপহৃতরা হলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি রাধেশ্যাম ম-ল (৫৫), একই গ্রামের অটো চালক রবি দাস (২৮), আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল গ্রামের সোহেল মাতুব্বর (২৫), জুয়েল মাতুব্বর (২৩), ঈশ্বরদী গ্রামের নূর হোসেন (২৮), সোহেল মিয়া (২২), কররা গ্রামের ইসরাফিল (২৫), ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলাম (২২)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় ১২ থেকে ১৪ জনের একটি দল গ্রামে গ্রামে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা নিজেদের র‌্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। অপহৃত সোহেল ও জুয়েল মাতুব্বরের মা কোহিনূর বেগম বলেন, আমার দুই ছেলেকে র‌্যাব-৮ লেখা কালো রঙের গাড়িতে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। গত দুইদিনও তাদের কোন খোঁজ পাইনি। অপহৃত নূর হোসেনের স্ত্রী সুবর্ণা বলেন, তার স্বামীকে ১২-১৮ জনের একটি দল বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাব অফিসে গিয়েও স্বামীর কোন সন্ধান পাইনি। ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, র‌্যাব পরিচয়ে আট ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার কথা আমি শুনেছি। কিন্তু বুধবার দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের এডি হাফিজুর রহমান বলেন, ভাঙ্গায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে র‌্যাব পরিচয়ে আটজনকে তুলে নিয়ে যাওযার খবর আমরাও শুনেছি। অপহৃতদের পরিবারর সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়টি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। কেন না ওইদিন র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোন দল ভাঙ্গায় অভিযানে যায়নি। অভিযোগটি আমরাও খতিয়ে দেখছি। প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম বাজার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কালামৃধা ও আজিমনগর ইউনিয়নের ৫ যুবক সোবাহান মিয়া, বেলায়েত হোসেন, রুবেল খান, ফয়েজ হাওলাদার ও কাইয়ুম মুন্সীকে তুলে নিয়ে যায়।
×