ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে উন্নয়ন কাজে ঘুষ ৪কোটি টাকা

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৯ জুন ২০১৬

কক্সবাজারে উন্নয়ন কাজে ঘুষ ৪কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ৩৪ কোটি টাকার কাজে ৪ কোটি টাকা নগদে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন পাউবোর ঠিকাদারগণ। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলণ করে এ অভিযোগ তুলে ধরেন ঠিকাদাররা। এর আগে পাউবোর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে পাউবোর ঠিকাদার সমিতির নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেন। অভিযোগে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন কক্সবাজার পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষণের (পওর) বিভাগের অধীনে ঠিকাদারগণ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কাজ সমাপ্ত করেন। কাজ সম্পাদনের পরও কাজের বিল না পেয়ে ক্ষুদ্ধ ঠিকাদাররা ঘন্টাব্যাপী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস ঘেরাও করে রাখেন। বুধবারের মধ্যে কোন সুরাহা করতে ব্যর্থ হলে আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর) কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঠিকাদাররা। মঙ্গলবার সকালে পাউবো ভবনের সামনে কক্সবাজার পানি ঠিকাদার সমিতি সংবাদ সম্মেলণেরও আয়োজন করেন। ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কক্সবাজার জেলায় সরকারের ‘অনুন্নয়ন খাতে (এনডিআর)’ বরাদ্দকৃত বাজেটের বাইরে গিয়ে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকার পরেও নির্বাহী প্রকৌশলীর আশ্বাসের ভিক্তিতে ঠিকাদাররা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেন এবং কার্যাদেশ পেয়ে যথারীতি তাদের কাজগুলো সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাবিবুর রহমান ঘুষের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ঠিকাদারদের সঙ্গে মিথ্যা ও চাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। উল্লেখ্য উক্ত ৩৪ কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১ কোটিতে ৫ লক্ষ টাকা হারে ঘুষ আদায় করেন। আর এ বিশাল অঙ্কের টাকা ঘুষ প্রদান করে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ সমাপ্ত করার পরও প্রাপ্য বিল পাওয়ার কোনরুপ সম্ভাবণা না দেখে তারা এ ঘেরাও কর্মসূচি পালনে বাধ্য হন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
×