ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশকে কঠিন অবস্থা থেকে উদ্ধারে জাতীয় সংলাপের চান এরশাদ

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৯ জুন ২০১৬

দেশকে কঠিন অবস্থা থেকে উদ্ধারে জাতীয় সংলাপের চান এরশাদ

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশকে কঠিন অবস্থা থেকে উদ্ধারে জাতীয় সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেছেন, সুশাসন আজ প্রশ্নবিদ্ধ নয়, সুশাসন আজ গুলিবিদ্ধ। তাই আসুন এই অবস্থান থেকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য সবাই মিলে ঐকমত্যে উপনীত হই। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো- যে রাজনীতিবিদ সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করুন। আলোচনাকরে কঠিন সঙ্কট থেকে দেশকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে এরশাদ বলেন, অর্থমন্ত্রী হাসতে হাসতে ৮০ বছর পার করেছেন। কিন্তু আমাকে ৮০ পার করতে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। নিজে সব সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিলেন দাবি করে এরশাদ বলেন, আমি সবসময় আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছি। ১৯৯১ সালে সংসদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংসদ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি তখন জেলে ছিলাম। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করে অত্যাচারী বিএনপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিলাম। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে সহযোগিতা করেছি। ২০০৬ সাল মহাজোট গঠন করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে বিশাল বিজয় এনে দিয়েছিলাম। আমি সব সময় আওয়ামী লীগের পাশেই থেকেছি। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, যে সমাজে একজন এসপি’র স্ত্রী নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হতে পারে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে ক্রসফায়ার চালু করেছিলো বিএনপি। ২০০৪ সালে প্রথম তারা কেন ক্রসফায়ার চালু করেছিল? কারণ তখন এদেশে আইনের শাসন ছিল না। আইনের শাসন ছিল না বলেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল। সেদিন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বিচার এখনো হয় নাই। সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা এখনো বহন করে চলছি।
×