ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিদেশীয় সিরিজে দ. আফ্রিকার ব্যর্থতা

দায় মাথা পেতে নিলেন এবি

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৯ জুন ২০১৬

দায় মাথা পেতে নিলেন এবি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজ তো বটেই, বড় সব টুর্নামেন্টে ফেবারিট হিসেবে শুরু করেও ব্যর্থতা দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উইন্ডিজ ত্রিদেশীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের সঙ্গে তৃতীয় দল অস্ট্রেলিয়া। যেখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অসিরাই ছিল স্বাভাবিক ফেবারিট। আর সামর্থ্যরে বিচারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে আফ্রিকানরা এগিয়ে। কিন্তু লীগ পর্বে ‘ডু অর ডাই’ শেষ ম্যাচে উইন্ডিজের কাছে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে ফাইনালে উঠতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিয়েছেন অধিনায়ক ও দলের বড় তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকে আগলে রেখে তিনি বলেছেন, প্রস্তুতির কোন ঘাটতি ছিল না। প্রত্যাশিত ফল পেতে মাঠের লড়াইয়ে সতীর্থদের আরও সিরিয়াস হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হতাশার মাঝে ইতিবাচক কিছু খুঁজে ফেরা এবি তাকাতে চান সামনের দিকে। ‘দুঃখজনক বিষয়, এই সিরিজে আমরা খেলোয়াড় হিসেবে কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টকে ছোট করেছি। একাধিক ম্যাচে আমাদের আরও ভাল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। সিরিজ সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতির কোন ঘাটতি ছিল না, বাস্তবতা হচ্ছে আমরা ভাল খেলিনি। পুরো কোচিং স্টাফ তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং ডোমিঙ্গোর মু-ুপাত দেখাটা দুঃখজনক। এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের কতিপয় খেলোয়াড়েদেরই বরং বেশি চাপে থাকা উচিত। অধিনায়ক হিসেবে আমি নিজেও দায় এড়াতে পারি না।’ প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘গত চার বছরে আমাদের সকলের ক্যারিয়ারেই অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। আমি মনে করছি তিনি বেশ ভালভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন ... তিনি চাপে আছেনÑ দেখাটা খুবই দুঃখের বিষয়। সিরিজে এই ব্যর্থতার জন্য অবশ্যই কোচিং স্টাফ দায়ী নন। তারা যা করছেন এবং যা করতে চান তাতে তারাই বিশ্বের সেরা, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাজে পারফর্মেন্সের দায় খেলোয়াড়দেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডি ভিলিয়ার্স। অস্ট্রেলিয়া প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে। লীগ পর্বের ‘ডু অর ডাই’ শেষ ওয়ানডেতে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে দ. আফ্রিকা ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হার মানে! লীগ পর্বে প্রতি দল প্রত্যেকের বিপক্ষে তিনবার করে মুখোমুখি হয়। ৬ ম্যাচে ২ জয়ের বিপরীতে ৩টিতেই হারে প্রোটিয়ারা। তাদের একটি খেলা পরিত্যক্ত হয়। ব্যাট হাতে অধিনায়ক নিজেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ২৪ গড়ে করেছেন মাত্র ১২১ রান, ২০১০-১১ সালে ভারত সিরিজের পর যা এবির ক্যারিয়ারে (ওয়ানডে সিরিজে) সবচেয়ে বাজে পারফর্মেন্স। ‘আমার বল দেখতে অসুবিধা হচ্ছে না। আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি নেই। সিরিজে পাঁচবারের মধ্যে চারবারই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়েছি!’ বলেন এবি। একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে হাশিম আমলা (২৪১) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেরা নয়ে নেই আর কোনো দ. আফ্রিকান। বোঝাই যাচ্ছে তারকাখচিত ব্যাটিং কতটা ব্যর্থ। তবে ১৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ শিকারি লেগস্পিনার ইমরান তাহির। পেসার কাগিসো রাবাদা ৭, আর বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার এ্যারন ফাঙ্গিসো নিয়েছেন ৬টি করে উইকেটÑ এগুলোকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন ডি ভিলিয়াস।
×