ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৯ জুন ২০১৬

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। রফতানি আয় বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স প্রবাহে স্থিতিশীল ধারা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় অবদান রেখেছে। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের আট মাসের আমদানি দায় পরিশোধ করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। মঙ্গলবার দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে গত এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ২৯ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি নিয়ে বিশ্বব্যাপী হৈচৈয়ের মধ্যে এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এক বছর আগে গত বছরের জুন শেষে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৫ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। রিজার্ভের দিক দিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, সময়োপযোগী বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ ব্যবস্থাপনার কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের দাম কম থাকায় পরিমাণের দিক দিয়ে আমদানি বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার তুলনামূলক ব্যয় কম হচ্ছে। এবার রফতানিতেও ভাল প্রবৃদ্ধি আছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিয়মিত রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নতুন এ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, সরবরাহ অনুযায়ী বাজারে ডলারের চাহিদা না থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনছে। চলতি অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩২০ কোটি ডলার কেনা হয়েছে। আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে কেনা হয় ৩৪০ কোটি ডলার। মূলত আমদানি ব্যয় কম থাকায় বাজারে উদ্বৃত্ত হওয়া ডলার কিনতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
×