ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

একগুচ্ছ ঈদ এ্যালবাম লেজার ভিশনের

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৯ জুন ২০১৬

একগুচ্ছ ঈদ এ্যালবাম লেজার ভিশনের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেরিয়েছে সংযমের মাস রমজানের ২২টি দিন। আর মাত্র কয়েকটি দিন পেরুলেই আসবে খুশির ঈদ। পোশাক কেনাকাটা থেকে শুরু করে চলছে আনন্দ উদ্্যাপনে নানামুখী প্রস্তুতি। আনন্দসন্ধানী বহুমুখী আয়োজনের অংশ হিসেবে সঙ্গীতভিত্তিক প্রযোজনা সংস্থাগুলো থেকে বের হচ্ছে গানের সঙ্কলন। সেই সুবাদে লেজার ভিশন থেকে ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে নানা ঘরানার গানের নয়টি এ্যালবাম। খ্যাতিমান এবং নবীন ও উদীয়মান শিল্পীদের গাওয়া রোমান্টিক, মেলোডি ও লোকগান দিয়ে সাজানো এ্যালবামগুলো। একক কণ্ঠের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিক্সড এ্যালবাম। এই ৯টি সঙ্গীত সঙ্কলনের সঙ্গে রয়েছে একটি আবৃত্তির এ্যালবাম। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো সেসব সঙ্কলনের খোঁজখবর। শহুরে শ্রোতাদের কাছে সুপরিচিত এক শিল্পী বাউল শফি ম-ল। দরাজ কণ্ঠে ভাবসঙ্গীতের সুর ও বাণীতে রাঙিয়েছেন গানপ্রেমীদের মন। এই শিল্পীর গাওয়া গানের এ্যালবামটির শিরোনাম হচ্ছে অধরা। জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক আরফিন রুমির ফিচারিংয়ে এ্যালবামের সবগুলো গানের কথা লিখেছেন কাওসার আহমেদ কাজল। সঙ্কলনটিতে সংযুক্ত হয়েছে ফোক ধারার ৮টি গান। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গানের শিরোনাম হলোÑ কানা কি আর চিনে সোনা, আল্লাহ্ তোমায়, দেয়না ধরা মনোচোরা, বুকের ধন ও গুরু তোমার চরণ। অজয় মিত্রের ফিচারিংয়ে লোকগানের সঙ্কলনটির শিরোনাম কালো মানিক। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন সন্দীপন, অনুপম ও পুলক ঘোষ। কথা ও সুর করেছেন বিজয় সরকার, রশিক সরকার ও নিখিল সরকার। এ্যালবামের ৮টি গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- এই পৃথিবী যেমন আছে, তোমার আগে আমি যদি যাই ও তুমি জানোনারে প্রিয়। আধুনিক গানের মিক্সড এ্যালবাম ‘শ্যামা মেয়ে’। কণ্ঠ দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ, কাজী শুভ, পুলক অধিকারী, লুৎফর হাসান, মুহিন, নদী, মেহেদী হাসান, শাওন গানওয়ালা, তমালিকা বর্মণ, খালেদ মুন্না, তন্ময় ও অমিত কর। সেজুল হুসেন, সৌরভ ইরফান, ইসতিয়াক আহমেদ, সুমাইয়া মৌ ও লুৎফর হাসানের কথায় সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অমিত কর। এতে রয়েছে ১০টি রোমান্টিক গান। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলো- আমি তোমার মনে, মেঘে ঢাকা চাঁদ ও শ্যামা মেয়ে। ফোক গানের মিক্সড এ্যালবাম অর্নব মিত্র ফিচারিং ‘ফোক সুডিও’। কণ্ঠ দিয়েছেন সন্দীপন, অনুপম, অর্নব মিত্র, রাজু গাজী ও ইতু সিনগো। কথা ও সুর করেছেন ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকুল চন্দ্র, শাহ্ আব্দুল করিম, ওসমান খান, আব্দুল গফুর হালি, স্বপন কুমার হালদার, গিয়াসউদ্দিন, বিদিত লাল দাস, গৌতম চট্টোপাধ্যায়, জসিমউদ্দিন ও অজয় মিত্র। কন্ঠ শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক রাকিব মোসাব্বিরের একক অডিও এ্যালবাম ‘মায়াবতী ময়না’। গানের কথা সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শিল্পী নিজেই। মেলোডি ও রোমান্টিক ধাঁচের এ্যালবামে ঠাঁই পেয়েছেন ৬টি গান। নবীন কণ্ঠশিল্পী মিনার জোহানে প্রথম একক অডিও এ্যালবাম ‘জোহান’। জোহানের সঙ্গে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নির্ঝর। তানভীর আহমেদ শুদ্ধ, আনোয়ার হোসেন আদর, রিফাত আলম, রিফাত তারেক ও মিনার জোহানের কথায় সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সাজিদ সরকার, রায়েফ আল হাসান রাফা। এ্যাবামটিতে মোট ৯টি গান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলো- বেদনার ভিড়ে, ভালবাসি, রাত প্রহরী, দেখি অবেলায়, শুকতারা ও হারিয়ে ইত্যাদি। টিএম সাব্বিরের কথায় মিক্সড অডিও এ্যালবাম ‘জল ক্যানভাস’। কণ্ঠ ও সুর করেছেন নির্ঝর চৌধুরী, বনি আহমেদ, শান ও দেবলীনা সুর। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শান ও বনি আহমেদ। ভিন্ন মাত্রার ৬টি গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ডানপিটে, বৃষ্টি ও তুমি, দুঃখ বিলাস ও জল ক্যানভাস। কণ্ঠশিল্পী অমিত করের আধুনিক গানের একক এ্যালবাম ‘আকাশটাকে ছোঁব’। তাঁর সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মিষ্টি। কথা লিখেছেন তন্ময়, আশ্রাফ শাহীন, তারেক মাহমুদ, সেজুল হুসেন, অমিত কর, প্রিয়া ও হাসনাত মহসিন। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বনি আহমেদ, অলক বাপ্পা ও সুমন কল্যাণ। মোট ১০ আধুনিক গান রয়েছে এই সঙ্কলনে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলো- একটু আকাশ এনে দাও, আকাশটাকে ছোঁব, সারাদিন কেটে গেল, যে পথে প্রতিদিন ও বাইরে ভীষণ বৃষ্টি ইত্যাদি। লোকজ গান নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে নবীন কণ্ঠশিল্পী বাউল ফরহাদের প্রথম এ্যালবাম ‘মাটির মানুষ’। একটি গানের সহশিল্পী ছিলেন আশা। পলাশ ফারুকী ফিচারিং এ্যালবামটির গানের কথা ও সুর করেছেন শাহ আলম শিকদার জয়, আক্কাস দেওয়ান, আলাউদ্দিন, মোস্তফা দেওয়ান ও বাউল ফরহাদ। সঙ্কলনটিতে রয়েছে মোট ৭টি গান। আবৃত্তির এ্যালবাম ‘তাহারা চারজন’ এ আবৃত্তি করেছেন মকবুল হোসেন পাইক। জীবনানন্দ দাশ, হেলাল হাফিজ, কামাল চৌধুরী ও রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর কবিতা ঠাঁই পেয়েছে এ সঙ্কলনে। শিল্পীদের সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির মতবিনিময় ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সোমবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে বিদেশে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের সঙ্গে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পীদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন সুবীর নন্দী, শাহীন সামাদ, সফি ম-ল সমির বাউল, আবু বকর সিদ্দিক, রুমানা ইসলাম খান, দিনাত জাহান মুন্নি, মৌটুসী ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, শারমীন সাথী ইসলাম, শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়, কবিরুল ইসলাম রতন, শামীম আরা নীপা, বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্দা রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, তামান্না রহমান, মুনমুন আহমেদ, তুষার, কাকন, তাথৈ, মোঃ মনিরুজ্জামান, চন্দন দত্ত, ইউসুফ খান, জাহিদ হোসেনসহ প্রায় শতাধিক শিল্পী। আলোচনায় শিল্পী সুবীর নন্দী বলেন, যে কোন অনুষ্ঠানে লাইট এ সাউন্ড অনেক বেশি জরুরী হয়ে ওঠে। দেশের বাইরের অনুষ্ঠানে আমাদের দেশের অভিজ্ঞ লাইট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে যাওয়া উচিত। নইলে দেশের বাইরে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক ভাল লাইট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আছে এদের দলে অন্তর্ভুক্ত করলে ভাল হবে। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১২ সালে শিল্পকলার পক্ষ থেকে দুবাই গিয়েছিলাম। দুবাইয়ের সাউন্ড সিস্টেম ভাল না থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। মূলত দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই যাওয়া উচিত। মুনমুন আহমেদ, বাইরে গেলে আমাদের উচিত ভালভাবে মহড়া করে মঞ্চে ওঠা। তামান্না রহমান বলেন, ১৯৮১ সালে প্রথম যখন বিদেশে গিয়েছিলাম তখন একজন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন কিন্তু বর্তমানে থাকে না। ২০১৩ সালে যখন গেলাম তখন আমরা অনেক কিছুই পাইনি। নিজের দেশকে তুলে ধরার জন্য একজন উপস্থাপক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, এই সভা থেকে আমরা বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের আরও অনেক টিম বিদেশে যাবে। এই তখন যেন কোন সমস্যায় না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×