টাফ রিপোর্টার ॥ এবার তিস্তা নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নিজ অঞ্চলের এক সময়ের ঘরস্রোতা তিস্তাকে বাঁচাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। লংমার্চ, আলোচনা, সমাবেশ থেকে শুরু করে সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বহুবার। তিস্তাকে নিয়ে কবিতায় এরশাদ লিখেছেন,
‘তিস্তা তোমার বুকের পরে
গরুর গাড়ির চাঁকা ঘোরে।
সেই দুঃখ না সইতে পেরে
আমার চোখে অশ্রু ঝরে।
কোথায় তোমার কূল ভাঙা সেই
ঘূর্ণি ঢেউয়ের মাতন,
কোথায় তোমার স্রোতের ছন্দে
নিত্য জলের নাচন।
এখন কেনো তোমার বুকে
মরুর বালু উড়ে মরে॥
তিস্তা তুমি বন্দি কেনো
মুক্তি পাবে কবে,
আপন রুপে ফিরতে পারার
শক্তি কবে পাবে।
বুক যে ফাঁটে পিপাসাতে
শূন্য কলস আমার ঘরে॥
সেই দুঃখ না সইতে পেরে
আমার চোখে অশ্রু ঝরে।’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এই কবিতাটি পাঠ করেন তিনি। বক্তব্যে এরশাদ বলেন, আমরা তিস্তা অভিমুখে একটা লংমার্চ করেছিলাম। কেনো কলেছিলাম তা দেশবাসীর জানা আছে। সেই লংমার্চের আগে তিস্তাকে নিয়ে আমি একটি গান লিখেছিলাম। সেই গানের কথা যদি একটু বলি তাহলেই তিস্তা নিয়ে আমার উপলব্ধিটা বুঝতে পারবেন। আমি সেই গানের কথাই বলেছিলাম- “হাইরে আমার তিস্তা নদী স্রোতস্বিনী তিস্তা....
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল তিস্তা যেন তার স্বাভাকি গতি বজায় রাখতে পারে। কিন্তু প্রতিবেশী ভারত গজল ডোবা নামক স্থানে তিস্তা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করলে উত্তরবঙ্গের মানুষের বাঁচার তাগিদে আমাদেরও ব্যারেজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: