ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের মেয়ে সামনে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন ॥ ডিমলায় ধর্ষক আটক

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৮ জুন ২০১৬

নিজের মেয়ে সামনে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন ॥ ডিমলায় ধর্ষক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নিজের তিন বছরের মেয়ের সামনে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক মমিনুর ইসলাম (৪০) আটক হয়েছে। নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খানের হস্তক্ষেপে সোমবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি প্রভাবশালী ধর্ষকের পরিবারের হুমকীর মুখে থাকা ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করেছে। সেই সাথে ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীটির মা আমাতন গনি বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগে জানা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামে মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ে গ্রামের শালতলা দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটনার দিন গত ২২ জুন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মেয়েটি প্রতিবেশী আমিনুরের বাড়িতে যায়। আমিনুর তার পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকায় সেই বাড়িতে আমিনুরের মা থাকেন। ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অপর প্রতিবেশী মমিনুর ইসলামের তিন বছরের মেয়ে সহ একটি ঘরে মোবাইলে নাটক দেখছিল মাদ্রাসা ছাত্রীটি। হঠাৎ করে ওই ঘরে প্রবেশ করে মমিনুল ইসলাম। ঘরে ঢুকেই সে তার তিন বছরের মেয়ের সামনেই ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করতে থাকে। এ সময় ছোট মেয়েটি চিৎকার করে বলছিল বাবা ( মমিনুর) ওকে ছেড়ে দাও। কিন্তু না ছোট মেয়েটির কথাও শুনেনি মমিনুর। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকে প্রভাবশালীরা মামলা বা বেশী বাড়াবাড়ি না করার জন্য ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকী দিয়ে জিম্মি করে রাখে। ঘটনার বিচারের আশায় চোখের পানি ফেলছিল ধর্ষিতার মা আমাতন গনি। তিনি জানান এ অবস্থায় তিনি গোপনে সোমবার (২৭ জুন)নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান কে মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে সহায়তা কামনা করেন। পুলিশ সুপার সব কিছু শোনার পর সে দিনই সন্ধ্যার পর সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীরের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠিয়ে ধর্ষককে তার বাড়ি থেকে আটক করে। সেই সাথে ধর্ষিতা ছাত্রী ও তার মাকে থানায় নেয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা(নম্বর১৫) দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
×