ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় সেমাই বেচতে খাচির কদর

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৮ জুন ২০১৬

বগুড়ায় সেমাই বেচতে খাচির কদর

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ ঈদের আগের এই সময়টায় লাচ্ছা সেমাই চিকন সেমাইয়ের শহরে পরিণত হয়েছে বগুড়া। বিশেষ করে বগুড়া এখন চিকন সেমাইয়ের রাজধানী। এই সেমাই পরিবহনে বাঁশের খাচির চাহিদা বেড়েছে। ওজন ভেদে এই খাচির দাম প্রতিটি ২০ থেকে ৫০ টাকা। সেমাইয়ের পাইকারি দোকানিরা খাচি তৈরির কারিগরদের আগাম অর্ডার দেয়। বগুড়ায় সবচেয়ে বেশি খাচি তৈরি হয় গাবতলির নারুয়ামালা এলাকায়। খাচির কারিগর আফসার আলী বললেন, নিত্যপণ্য পরিবহনে খাচির কদর বেড়েছে। এখন অনেক পণ্যই চটের বস্তার বদলে খাচিতে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। খাচির উপকারিতা আছে। বাতাস সরাসরি প্রবেশ করে পণ্যকে সতেজ রাখে। চিকন সেমাই ও লাচ্চা সেমাই খাচি ছাড়া পরিবহন করা যায় না। যে কারণে ঈদের আগের সময়টায় খাচির চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আরেক কারিগর মনসুর আলী বললেন, বাঁশের ওপর নির্ভর করে খাচি কতটা শক্ত হবে। বারাক বাঁশ বাউল্লা বাঁশের খাচি শক্ত হয়। এই বাঁশের দাম বেশি। তল্লা বাঁশ মুলি বাঁশের খাচি হয় হাল্কা। বগুড়ার পাইকারি সেমাই বিক্রেতাদের ঘরে এখন খাচিতে ভরা। যে পরিমাণ সেমাই দরকার সেই মাপের খাচিতে ভরে দেয়া হচ্ছে। বেশি পরিমাণ সেমাই ক্রেতাদের খাচির মূল্য দিতে হয় না। হালে খাচির বহুবিধ ব্যবহার শুরু হয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসে পণ্য পরিবহনে ব্যবহার হচ্ছে খাচি। কারিগর আফসার আলী হেসে বললেন বাঁশের তৈরি জিনিসের চাহিদা সব সময় আছে। নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু ॥ দেবর-ননদ আটক স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে শিল্পী বেগম নামে গৃহবধূ রবিবার মারা গেছে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে পুলিশ নিহতের দেবর আওলাদ হোসেন ও ননদ সোনিয়া আক্তারকে আটক করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দশ বছর আগে শ্যামসিদ্ধি গ্রামের বাছের খানের ছেলে মোশারফ খানের সঙ্গে দামলা গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের মেয়ে শিল্পী বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আট বছরের ছেলে রয়েছে। চার বছর আগে মোশারফ খান দুবাই চলে যায়। এরপর থেকে গৃহবধূ শিল্পীর ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে আসছে। শিল্পীর বোন সীমা বেগম জানান, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিল্পী মাঝে মাঝেই বাড়িতে চলে আসত। গত ২১ জুন দুপুরে শিল্পীর সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝগড়া বাধে। এ সময় শিল্পীর শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, শ্বশুর বাছের খান, দেবর আওলাদ হোসেন ও রমজান, ননদ সোনিয়া আক্তার, জা সাহানা বেগম মিলে শিল্পীকে বেদম প্রহার করে। এতে শিল্পী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ও পরে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার শিল্পী মারা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর রবিবার রাতেই শিল্পীকে দামলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
×