ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওআইসি থেকে খাদ্য সহায়তা পেল মায়ানমারের উদ্বাস্তুরা

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৭ জুন ২০১৬

ওআইসি থেকে খাদ্য সহায়তা পেল মায়ানমারের উদ্বাস্তুরা

অনলাইন ডেস্ক॥ মায়ানমারের ১ হাজার ১০০রও বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু পরিবার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) থেকে রমজান উপলক্ষে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। রবিবার জেদ্দাহ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ওআইসি। বিবৃতিতে ওআইসি জানায়, তারা ৫৫০ ব্যাগের বেশি চাল (প্রতিটি ৫০ কেজি) রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরন করেছে। আন্তর্জাতিক এনজিও হিউম্যানিটি মালয়েশিয়ার মাধ্যমে ওই চাল বিতরণ করা হয়। হিউম্যানিটি মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মায়ানমারে ওআইসির বিশেষ দূত ড. সাইদ হামিদ আলবার বলেন, ‘সিত্তে ও রাখাইন প্রদেশের ১ হাজার ১০০-রও বেশি পরিবার ওই খাদ্য সহায়তা পেয়েছে।’ ওআইসি মহাসচিব ইয়াদ আমিন মাদানির উদ্যোগে পরিচালিত একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ইয়াদ আমিন মাদানির ওই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষাসহ রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরনে সহায়তা করা। এর আগে রমজানের শুরুর দিকে হিউম্যানিটি মালয়েশিয়ার মাধ্যমে মাদানি মালয়েশিয়ার শরণার্থীদের জন্যও একটি ইফতার পার্টি ও দান বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করান। ওআইসির মুখপাত্র সাইদ হামিদ বলেন, ‘ওআইসি মায়ানমারে আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের সহায়তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আর শরণার্থী আশ্রয় শিবিরগুলোতে বসবাসকারী উদ্বাস্তুদের জন্যও জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণ সরবরাহ করবে। এছাড়া ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে সকল উদ্বাস্তুদের জন্যই মানবিক সহায়ত সরবরাহের উদ্দেশে মায়ানমারে ওআইসির একটি দপ্তর স্থাপন করা হবে’। গতমাসে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনসিএইচআর) এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে এখনো ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন। আর এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।’ মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই প্রদেশে ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। সেসময় প্রায় ২০ হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইউএনসিএইচআর বলেছে, ‘আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের মাত্র ২৫ হাজার জন মায়ানমার সরকারের সহায়তায় তাদের ঘরবাড়ি পূনর্নির্মান করতে পেরেছে।’
×