ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়াই আমাদের লক্ষ্য ॥ প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল ও র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৭ জুন ২০১৬

বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেল ও র‌্যাপিড ট্রানজিট কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ উত্তরা থেকে ২০ কিলোমিটার পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পেরিয়ে যাত্রীদের মতিঝিলে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত দেশের প্রথম মেট্রোরেল এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণের দুটি বিশাল কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল কাক্সিক্ষত দুটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এতে যানজটের কারণে অপচয় হওয়া থেকে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। ঢাকাকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে সড়ক, নৌপথ ও রেলপথ নির্মাণ করে যোগাযোগ আরও সুন্দর করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা দেশকে উন্নয়ন করতে চাই, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প দুটির ফলক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে দেশের জনগণকে আমরা আরও সুন্দরভাবে চলাচলের সুযোগ করে দিতে সক্ষম হব। ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কীভাবে আরও উন্নত ও সহজ করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তবে এটা ঠিক যে ঢাকায় অতিরিক্ত মানুষের বসবাস। কিন্তু যে পরিমাণ রাস্তাঘাট থাকার কথা তার অভাব। অপরদিকে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হওয়ায় গাড়ি কেনার ক্ষমতাও বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সবসময় মনে করে, উন্নয়ন টেকসই হওয়া উচিত। রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শুরু হলো। উত্তরা ৩য় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০১৯ সালে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০২০ সালে মেট্রোরেল চলবে। রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসন ও আধুনিক নগর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই দুটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যেন, ২০১৯ সালেই প্রকল্পটি আগারগাঁও নয়, ফার্মগেট পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। এতে সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত আরও একটু সহজ হবে। তিনি বলেন, এ লাইনে মহানগরীর ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টেশন থাকবে। এতে প্রতিঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে এবং উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মাত্র ৩৮ মিনিটেই পৌঁছতে পারবে। আজ থেকে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এমআরটি-বিআরটি সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তিনি বলেন, আমরা দেশজুড়েই সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ-সহ যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ঢাকা শহরের পূর্ব-পশ্চিম অংশের সংযোগসহ একটি সমন্বিত গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান হাল-নাগাদ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর সুপারিশ অনুযায়ী এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত-বারিধারা-বাড্ডা-রামপুরা-মৌচাক হয়ে কমলাপুর এবং খিলক্ষেত-পূর্বাচল কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-১ এবং গাবতলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-১, ১০ ও ১৪-বনানী-গুলশান-২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৫ এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান রয়েছে । এমআরটি লাইন-১-এ ৯ কিলোমিটার এবং এমআরটি লাইন-৫-এ ৬ কিলোমিটার মোট ১৫ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, এ দু’টি লাইনের কাজ শেষ হলে নগরীর বেশির ভাগ স্থানেই দ্রুত, সহজ ও আরামদায়ক পরিবেশে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। এতে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। অন্যদিকে যানজটের কারণে অপচয় হওয়া থেকে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার জনগণের ঢাকা মহানগরীতে যাতায়াত সহজ, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও দ্রুত করার জন্য গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি লাইন স্থাপনের উদ্যোগ আমি গ্রহণ করি। এ প্রকল্পেরও নির্মাণ কাজ আজ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর সমাপ্ত হবে। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাসভিত্তিক দ্রুতগামী এ গণপরিবহন ব্যবস্থায় প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার বিআরটি লাইন-৩ নির্মাণের বিষয়টিও যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তার সরকারের সময়ে দেশে ৫ হাজার ছোট ও মাঝারি সেতু এবং ১৪টি বৃহৎ সেতু নির্মাণের পাশাপাশি ২১ হাজার কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলেই জানি প্রায় ২৮ হাজার কোটি ঢাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ সেতুর এক্সেস রোড হিসেবে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া ঘাট এবং অপর পাড়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় দিকে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ ও নারায়ণগঞ্জের ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নাধীন আছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ, ৪-লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতি সেতু, মধুমতি নদীর উপর কালনা সেতু নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোর লেনের নির্মাণ শেষে ঈদের আগেই এই মহাসড়ক দুটি চালুর সুসংবাদ দেশবাসী পাবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনার বিবরণও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রায় গভীর সমুদ্র বন্দর ছাড়াও সেখানে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি, নৌ-ঘাঁটি স্থাপনও সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গে রাজধানীর নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু জনগণের যাতায়াতের জন্য উš§ুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু (লেবুখালি) নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও জনসাধারণের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করাসহ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্ট এবং বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া, মায়ানমার (বিসিআইএন) অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের উদ্যোগের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, পরিবহন সেক্টরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন এবং জনসাধারণকে সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যানবাহনের কর ও ফি আদায়ে অন-লাইন ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এছাড়া মোটরযান ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনায়নের উদ্দেশে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নাম্বারপ্লেট, রেডিও ফ্রিক্যুয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ ও মোটরযানের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রবর্তন করা হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিটি পদক্ষেপ এক একটি মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা সংঘটনের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোকে আমরা সাইন্টিফিক্যালি তৈরি করে দিয়েছি। কারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টাতে আমরা সব সময়ই সচেতন। সড়ক পথ, নৌ, রেল এবং আকাশ পথ-প্রতিটি ্েক্ষত্রেই তাঁর সরকার উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি নতুন একটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও করে দিতে। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানে বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন রচনার জায়গা। সেদিক থেকে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ঢাকার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে রাজধানীকে ঘিরে বৃত্তাকার নৌ-রেল-সড়ক পথ নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ককে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুটের সঙ্গে সমন্বয় করেই এগিয়ে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার একের পর এক সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে। আর সব ধরনের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো টেকসই, নিরাপদ এবং আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। রাজধানীর যানজট হ্রাসে আমরা নির্মাণ করেছি ফ্লাইওভার ও রেলওয়ে ওভারপাস। ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য কয়েকটি সড়ক ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, চালু করা হয়েছে কমিউটার ট্রেন, বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকা মহানগরীর চারদিকে বৃত্তাকার সড়ক, রেল ও নৌপথ নির্মাণের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় সরকারের গৃহীত হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিএনপি-জামায়াত সরকারের বন্ধ করে দেয়ার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে উদ্বোধন হওয়া জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব ২টি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে গুণগত মান নিশ্চিত করেই কাজ সম্পন্ন করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্য অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নে সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইচ চেপে মেট্রোরেল এবং মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রজেক্টের ফলক উšে§াচন করেন। পরে এক বিশেষ মোনাজাতেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম. এ. এন সিদ্দিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যগণ, সরকারী, সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী দেশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×